,

প্রেমের টানে নারায়নগঞ্জ থেকে বাহুবলে এসে গণধর্ষণের শিকার সুন্দরী যুবতী

জুয়েল চৌধুরী ॥ প্রেমের টানে নারায়নগঞ্জ থেকে বাহুবলের জয়পুরে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক সুন্দরী যুবতী। শুধু তাই নয়, লম্পটরা তাকে সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দিয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক যুবককে আটক করেছে। সদর হাসপাতালে ভর্তি ওই যুবতী জানায়, সে নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার দিঘিবরাবর গ্রামের মৃত মনোয়ার হোসেনের কন্যা। তার একটি বিয়ে হয়। ৬ মাসের মাথায় স্বামী মারা যায়। পিতার অভাব অনটনের সংসারে সে গার্মেন্টের্সে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। একটি অনুষ্ঠানে বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের তৈয়ব খার কন্যা লিপি আক্তারের সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। লিপি তার ভাই বাহুবল উপজেলা পরিষদের পিয়ন আলমের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একজন আরেকজনকে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। গত সোমবার দুপুরে আলম ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। নাজমা তাকে বিয়ের কথা বললে আলম জানায় রাতে তাদের বিয়ে হবে। রাতে একটি নির্জন বাড়িতে নাজমাকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে রাতভর আলমসহ বেশ কয়েকজন যুবক তাকে গণধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেট দিয়ে ছ্যাকা দেয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাকে রাস্তায় ফেলে দিলে মুর্মুষূ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গতকাল দুপুরে সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, দুই তিন যুবক তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সরকারি চাকুরির পরিচয়দানকারী এক যুবক ওই যুবতীকে বারবারই ফলো করে। এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ওই যুবক সটকে পড়ে। যুবতী জানায়, স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় ওই যুবকও তাদের সাথে ছিল। অপর একটি সূত্র জানায়, ওই যুবতী নিখোঁজ হয়েছে মর্মে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ফতুল্লা থানায় জিডি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বাহুবল থানার ওসি মাসুক আলী জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ১ যুবককে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। বাকীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।


     এই বিভাগের আরো খবর