,

হবিগঞ্জে ধানের বাম্পার ফলন বন্যার শঙ্কায় কৃষকরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ জেলায় এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান কাটার ধুম পড়েছে হাওরাঞ্চলে। কৃষকরাও আনন্দে উদ্বেলিত। এরপরও আগাম বন্যার শঙ্কায় রয়েছেন তারা। হাওরাঞ্চলের অধিকাংশ স্থানেই ধান কাটা শুরু হয়েছে। এদিকে ঝড়ে তেমন ক্ষতি না করতে পাড়া আর ভালো উৎপাদনের ফলে এ বছর কৃষকদের মাঝে হাইব্রিড ধান ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এছাড়া সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে মোটা জাতের এ হাইব্রিড ধানকে গুরুত্ব দেয়ায় এর প্রতি তারা আরও বেশি ঝুঁকছেন। এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান মন্ডল জানান, জেলায় হাইব্রিড জাতের মাঝে এ বছর জনক রাজ কৃষকদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কারণ এটি ঝড়ে ক্ষতি করতে পারে না। গোড়া এবং বোটা শক্ত হওয়ায় এ ধান হেলে পড়ে না। ফলনও অনেক বেশি হয়। তাদের ধারণা, সরকরি গুদামগুলোতে যেহেতু মোটা ধান কেনা হয়, তাই হয়তো কৃষকরা নতুন এ জাতের ধানের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে যদি ঠিকঠাক মতো কৃষক ধানগুলো কেটে ঘরে তুলতে পারেন তবে এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এতে কৃষকদের গত বছরের ক্ষতি কিছুটা হলেও পূরণ হবে। গোপালনগর গ্রামের কৃষক শিশু মিয়া জানান, ৩৩ একর জমিতে জনক রাজ ধানের বীজ রোপণ করেন। এর মধ্যে এক শতক জমির ধান কেটে মাড়াই করে সোয়া মণ ধান পাওয়া গেছে। ফলন বেশি হওয়ায় এ মোটা জাতের ধানের প্রতি তারা বেশি ঝুঁকছেন। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ১৫ হাজার ৩০৫ হেক্টর। আবাদ হয় ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩০ হেক্টর। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ লাখ ৬০ হাজার টন। কৃষি বিভাগের আশা উৎপাদন হবে ৬ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। হাইব্রিড ও উপসি উভয় জাতের ধানেরই বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব ধান বিজ বপন থেকে শুরু করে কাটা পর্যন্ত ১৪০ থেকে ১৫০ দিন সময় লাগে। কৃষি বিভাগ আশা করছে আর ১৫ দিন সময় পেলেই সব ধান কৃষক ঠিকঠাক মতো গোলায় তুলতে পারবেন।


     এই বিভাগের আরো খবর