,

নবীগঞ্জ-রুদ্রগ্রাম সড়কের বেহাল দশা, জনগণের ভোগান্তি চরমে, দেখার কেউ নেই

আলী হাছান লিটন ॥ নবীগঞ্জ পৌরসভার শিবপাশা থেকে উপজেলার আইনগাঁও পর্যন্ত জনবহুল পাকা রাস্তাটি খানা-খন্দে ভরে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জনগণ। প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা আর এসব দূর্ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। দীর্ঘ ৯ কি.মি রাস্তাটি দিন দিন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। দেখার যেন কেউ নেই। বিশ্বরোডের বাইপাস সড়ক হওয়ায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়ে দিবা-রাত্রী ছোট বড় হাজারো যানবাহন চলাচল করে। দিনারপুর পরগনা ও বাউসা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র অবলম্বন এসড়ক। রাস্তাটি খানা-খন্দে ভরে যাওয়ায় প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটে লোকজন আহত হয়। রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার কাজ না করায় কোথাও কোথাও পাকার চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়না। রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার খানা-খন্দে পানিতে ভরে যায়। কাদা পানি ভেদ করে যানবাহন চলাচল করতে হয়। হাজার হাজার মানুষ নানান প্রতিকুলতা আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে এ সড়কে। হরিধরপুর শাহ তাজ উদ্দিন (রহ.) উচ্চ বিদ্যালয়, ধুলচাতল তাজিয়া মোবাশ্বীরিয়া আলিম মাদ্রাসা, দিনাপুর কলেজ, দিনাপুর উচ্চ বিদ্যালয় সহ অসংখ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিক্ষক সরকারি চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার লোকজনকে এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে হয়। লাখো মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক বিগত কয়েক বছর পূর্বে গুরুত্ব বিবেচনা করে পাকা করণ করা হলেও আজ পর্যন্ত সংস্কার করা হয়নি। তাই খানা-খন্দে ভরে গিয়ে দিন দিন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাথে নবীগঞ্জ শহরের একমাত্র বাইপাস সড়ক হওয়ায় ট্রাক, ট্রেক্টর, অটো ভ্যান, ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা, সিএনজি প্রতিনিয়ত চলাচল করলেও অনেক যানবাহন ইতোমধ্যেই কমে গেছে। ফলে যানবাহনের উপর নির্ভরশীল কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষার্থী শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এই সড়কে প্রতিদিন এলাকার হাজারো সিএনজি চলাচল করে। সিএনজি চালকদের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করার একমাত্র বাহন এই সড়ক। যানবাহন চলাচলে উপযোগী করতে শিবাপশা সিএনজি শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে বিগত কয়েমাস পূর্বে তাদের নিজ অর্থায়নে ছোট বড় গর্তে ইট বালী ফেলে স্বেচ্ছশ্রমে সংস্থার করে। কিন্তু টানা বর্ষনে এগুলো উঠে সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। সড়কের বেহাল অবস্থা নিয়ে গণমাধ্যম ও সোস্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠলেও সংস্কারে কোন গতি নেই। জনাসাধারণেরর ভোগান্তি লাগবে ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে সড়কটি দ্রুত সংস্কার করতে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।


     এই বিভাগের আরো খবর