,

ইনাতগঞ্জ বাজার কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তপ্ত ॥ পূনঃ নির্বাচনের দাবী

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। অধিকাংশ প্রার্থী পূনঃ নির্বাচনের দাবী জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশন এবং প্রিজাইডিং অফিসারকে দায়ী করছেন প্রার্থীরা। জানা যায়, গত শনিবার ইনাতগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাচন সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলেও বিপত্তি ঘটে ভোট গণনার সময়। ভোট গণনার এক পর্যায়ে নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা নবীগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম সাংগঠনিক পদে একজন প্রার্থীর ভাঁঝ করা ভোটে ৮০ ভোটের মধ্যে ১০০ ভোট লিখে রাখেন। এ খবর স্ব স্ব প্রার্থীও এজেন্টের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি দুই প্রার্থী ঘোষণার আগেই বিজয় মিছিল করেন। পরে নির্বাচন কমিশন ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে দায়ী করে অন্য কয়েকজন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। বিক্ষোভ মিছিল আর হৈ হৈল্লোর কারনে ইনাতগঞ্জ বাজার উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এ সময় তারা ভোট পূণঃ গণনার দাবী জানালেও নির্বাচন কমিশন আমলে নেননি বলে অভিযোগ করেন। বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে আইনশৃংখলা বাহিনীও হিমশিম খায়। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন হাসান ঘটনা স্থলে এসে প্রার্থীদের সাথে কথা বলে আজ সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোট পূণঃ গণনার আশ^াস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এদিকে নির্বাচনে অনেকটাই আইন মেনে করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন প্রার্থী। তারা জানান, নির্বাচনে এজেন্টরা মোবাইল ফোন নিয়ে ভোট কেন্দ্রে গেলেও কমিশন কোন ব্যবস্থা নেননি। তাদের মতে মোবাইল ফোন এজেন্টদের কাছে না থাকলে প্রার্থীদের তারা সংবাদ পাঠাতে পারতো না। আর এমন অবস্থার সৃষ্টিও হতোনা। তাই নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের দায়ী করে অধিকাংশ প্রার্থী বাজার উন্নয়নের স্বার্থে পূণঃ নির্বাচনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দাবি জানিয়েছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর