,

নবীগঞ্জে ও বানিয়াচংয়ে বজ্রপাতে ৩ কৃষকের মৃত্যু ॥ আহত ৩, প্রশাসনের আর্থিক সহায়তা

মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জে ও বানিয়াচংয়ে বজ্রপাতে ৩ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরো ৩ জন। গতকাল বুধবার সকাল ১১ টার দিকে পৃথক বজ্রপাতে এ ঘটনাগুলো ঘটে। নিহতরা হলেন বানিয়াচং উপজেলা সদরের বাসিয়াপাড়া এলাকার সৈয়দ উল্লার ছেলে আজিম উল্লা (৪০), বড়ইউড়ি গ্রামের তাহির মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া (৩০) ও নবীগঞ্জ
উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের আসাব আলীর ছেলে আব্দুল জব্বার (৪৫)। এ ছাড়া আহতরা হলেন বড়ইউড়ি গ্রামের জাহের মিয়া, মকা গ্রামের আব্দুল হেকিম ও আছকির মিয়া। নিহত ৩ কৃষকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসন। সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে বড়ইউড়ি গ্রামের শাহীন মিয়া ও তার ভাতিজা জাহের মিয়া পার্শ্ববর্তী গুণই হাওরে জমিতে ধান কাটতে যান। এ সময় বজ্রপাত ঘটলে তারা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে শাহীন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত জাহেদ মিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় একই সময়ে মকার হাওড়ে বজ্রপাতের ঘটনায় একই উপজেলার বাসিয়াপাড়া গ্রামের আজিম উল্লা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় জমিতে থাকা মকা গ্রামের আব্দুল হেকিম ও আছকির মিয়া আহত হন। কাগাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এরশাদ আলী জানান, বুধবার সকালে আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকরা হাওরে ধান কাটতে যান। পরে বেলা ১১টার দিকে আকস্মিক বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়। অপরদিকে, বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের এক হাওরে গরু চড়াতে যান ওই গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার। এ সময় টানা বর্ষন শুরু হলে হঠাৎ আকস্মিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। কৃষক আব্দুল জব্বারের মৃত্যুর সংবাদে তাৎক্ষনিক নিহতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনের নিকট আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউল গণি ওসমানী জানান, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বজ্রপাতে মৃত ব্যক্তির আত্মার মাগফিরাত কামনা ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয় এবং জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কৃষক আব্দুল জব্বারের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইজাজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন বজ্রপাতে কৃষক মারা যাওয়ার ঘটনায় তাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বৃষ্টির সাথে ঝড় তুফান দেখা দিলেই অনেক কৃষক হাওরের কাজ ফেলে বাড়ি চলে আসেন।


     এই বিভাগের আরো খবর