,

মসজিদে মিলাদ মাহফিলকে কেন্দ্র করে নবীগঞ্জে শবে বরাতের রাতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলায় পবিত্র শবে-বরাতের রাতে মসজিদে মিলাদ পড়ানোকে কেন্দ্র করে দু‘পক্ষের দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের খনকাড়িপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। সূত্রে জানা যায়, ওই রাতে পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষে খনকাড়িপাড়া গ্রামের শাহ নূর হোসেন চৌধুরী সোহান মিলাদ পড়ানোর জন্য শিরনী নিয়ে মসজিদে যান। এ সময় তিনি নামাজের আগে মিলাদ পড়ার জন্য ঈমামকে অনুরোধ করেন। এতে বাঁধা দেন ওই গ্রামের বাসিন্দা নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল গফুর চৌধুরীর ছোট ভাই মুকিদ চৌধুরী ও সোহেল আহমেদ চৌধুরী রিপন। তারা বলেন-  মিলাদ হলে নামাজের পরে হবে। এ সময় অপর পক্ষের লন্ডন প্রবাসী মিনাল চৌধুরী ও শাহ নূর হোসেন চৌধুরী সোহান নামাজের আগে মিলাদ হবে বলে জানায়। এমনকি শিরনী বিতরণেও তারা নিষেধ করেন। এ নিয়ে মসজিদের ভিতরেই উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। বাদ এশা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন লোক আহত হয়। পরে এ ঘটনার সুত্রধরে গতকাল বুধবার দুপুরে আবারো দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি এস.এম আতাউর রহমান এর নেতেৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এর মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ৪ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ২ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলেন, আবু বক্কর (৫০) শাহ সোহান চৌধুরী (৩০) শেকুল (১৮) ইজাজ মিয়া (৭০) জুনেদ (১০) ইমানুর (২০) আবু ইউসুফ (৫০) রবিউল (২৫) মুহিদ (৪৫) রায়হান চৌধুরী (৩২) রাব্বি চৌধুরী, (১৮) মুহিবুর রহমান (৫২) সাহেল চৌধুরী (৪১) আব্দুল মুকিদ (৪৫) মারুফ মিয়া (৫৬) জুয়েল আহমেদ (৩২) জব্বার (৭০) শাকিল (২৫) সোহাগ আহমেদ (২৫)। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আতাউর রহমানের সাথে গতকাল রাত ১১টার দিকে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি। সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রসূল চৌধুরী রাহেল গং ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বাযক রায়েছ চৌধুরী গংদের মধ্যে আদিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় উভয় পক্ষের মধ্যে দাঙ্গা হাঙ্গামা ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। এ নিয়ে আতংকে রয়েছেন খনকাড়িপাড়া গ্রামের সাধারণ লোকজন।


     এই বিভাগের আরো খবর