,

নবীগঞ্জে মামলা করে বিপাকে বাদী প্রতিপক্ষের হামলায় স্কুল ছাত্রীসহ আহত ৫

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে মারামারি ঘটনায় মামলা করে বিপাকে পড়েছেন আব্দুল আলী নামের এক ব্যক্তি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওই মামলার তদন্ত কাজ শেষ করে পুলিশ ফিরে আসার পরপরই আসামীগণ ও তাদের পক্ষের লোকজন বাদীর বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বাধা দিতে গিয়ে আসামী পক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেয়া ছাত্রীসহ আহত হয়েছে ৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শৈলা রামপুর ভুমিহীন পাড়ায়। গুরুতর আহত কল্পনা বেগম (৪০), রুজিনা বেগম (৪৫) ও স্কুল ছাত্রী লুৎফা বেগম (১৬) কে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর (পুর্ব) ইউনিয়নের শৈলা রামপুর ভুমিহীন পাড়ায় আব্দুল আলীর গাছ থেকে চুরি করে নারিকেল নিয়ে যায় একই গ্রামের রফিক আহমদ এর ছেলে ও তার সহপাটিরা। এ সময় বাধা দিলে আব্দুল আলীর পরিবারের লোকজনকে মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় সম্প্রতি আব্দুল আলী বাদী হয়ে হবিগঞ্জ কোর্টে মামলা দায়ের করলে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য অফিসার ইনর্চাজ নবীগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। মামলার তদন্তভার দেয়া হয় ইনাতগঞ্জ ফাড়িঁ ইনর্চাজ সামছুদ্দিন আহমদকে। তদন্ত কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তকাজ শেষ করে ফাড়িঁতে ফিরে আসার পরপরই আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই গ্রামের হাছান আলীর ছেলে রফিক আহমদের নেতৃত্বে একদল লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আব্দুল আলীর বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর করে। আব্দুল আলীর পরিবারের লোকজন বাধাঁ দিলে তাদের উপর হামলা করা হয়। এতে সদ্য সমাপ্ত এসএসসি পরীক্ষার্থী লুৎফা বেগম (১৬), কল্পনা বেগম (৪০), রুজিনা বেগম (৪৫) সহ ৫ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের আশংকাজনক অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ইনাতগঞ্জ ফাড়িঁ ইনর্চাজ সামছুদ্দিন আহমদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনাটি শুনেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর