,

“পুলিশ জনতা-জনতাই পুলিশ”এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী

জসিম তালুকদার ॥ “বাংলাদেশ পুলিশ” সাধারণ জনতার কাছে ভয়ের হলেও একজন সচেতন পুলিশ’ই পারেন সাধারণ জনগণের বন্ধু হতে তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন (বাহুবল-নবীগঞ্জ) সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী। পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ। এই শ্লোগানকে ধারন করে পুলিশ কাজ করলেও বাস্তবে যেটা দেখা যায় তা হল, বাংলাদেশের অধিকাংশ থানা এড়িয়া কিংবা পুলিশ অফিসারের কক্ষ সাধারণ জনগনের জন্য একটি আতংকের নাম। সহজে নিপড়িত মানুষ বা ফরিয়াদী জনগন তাদের কক্ষে প্রবেশের সাহস পান না। এজন্য থানা বা পুলিশ কার্যালয়ের আশে-পাশে দালালদের আনাগোনা লক্ষ করা যায়। দালালদের মাধ্যমেই জনতা পুলিশের দরবারে হাজিরা দেন এটা অঘোষিত একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে অনেক-ক্ষেত্রেই। ফলে পুলিশের কাছ থেকে জনগণ যে কাংখিত সেবা পাবার কথা তা পেতে কষ্ট হয়। তবে ব্যতিক্রম যে নয়, তা কিন্তু নয়। এক্ষেত্রে এমনি একজন ব্যতিক্রমি পুলিশ অফিসার হলেন পারভেজ আলম চৌধুরী। বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেলের দায়িত্বে সহকারি পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে অফিস করে সামনে নেইম ফলকের পাশে একটি কাগজ লাগানো, লিফলেটের লেখাটি হলো “এই অফিস কক্ষে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নাই”। ফলে সাধারণ জনগন নির্ভয়েই একজন পুলিশ অফিসারের কাছে যেতে পারছেন। অনেকেই তার এই ব্যতিক্রমি আমন্ত্রনকে স্বাগত জানিয়েছেন। সচেতন জনগন মনে করছেন, এর দ্বারা পুলিশের প্রতি জনগনের ভয় দূর হবে এবং জনগন দালালের মাধ্যম ছাড়াই প্রাণখুলে পুলিশ অফিসারের কাছে তাদের সমস্যা বলতে সাহসী হবেন। এএসপি পারবেজ চৌধুরীর এই ব্যতিক্রমি দৃষ্টান্ত “পুলিশ জনগনের বন্ধু” এই শ্লোগানকে আরো কার্যকর করবে বলে অনেকেই আশা প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য তিনি হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেলে সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেন ০৭ মার্চ বুধবার সন্ধ্যায়। তিনি সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানার জাফলং এর বাসিন্দা। এর আগে তিনি আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেলে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন  করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর