,

নবীগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া প্রবাসীর স্ত্রী ও মায়ের দাফন সম্পন্ন

পুলিশের দাবি তদন্ত কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে

মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জ উপজেলায় দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া লন্ডন প্রবাসীর আখলাক চৌধুরীর মা ও স্ত্রীর মরদেহ গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজার নামাজে হাজারো মানুষের ঢল নামে। এ ঘটনায় নিহত রুমি বেগমের বড় ভাই পল্লী চিকিৎসক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে সোমবার রাতে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশের দাবী ইতিমধ্যেই তারা তদন্ত কাজ অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে এবং খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে তারা তা প্রকাশ করবে। হত্যাকান্ডের পর থেকে থানা পুলিশের পাশাপাশি হবিগঞ্জের পিবিআই, ডিবি, ডিএসবি ও র‌্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করে যাচ্ছে। এদিকে জানাজার নামাজের পুর্বে দেয়া বক্তব্যে নিহত রুমি বেগমের স্বামী ও মালা বেগমের একমাত্র পুত্র লন্ডন প্রবাসী আখলাক চৌধুরী গুলজার এবং রুমির পিতা সুজন মিয়া চৌধুরীসহ শোকার্ত গ্রামবাসী দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্মম এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনসহ প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান। জানাযার নামাজে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে আংশ নেন নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ আব্দুল মালিক, কুর্শি ইউপির চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুসা, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম  সাধারণ সম্পাদক কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রিজভী আহমেদ খালেদ প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত রবিবার রাত ১১ টায় উপজেলার কুর্শি ইউপির সাদুল্লাপুর গ্রামে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন ওই গ্রামের লন্ডন প্রবাসী আখলাক চৌধুরীর মা মালা বেগম এবং স্ত্রী রুমি বেগম। ওই রাতে তাদের আর্তচিৎকার শুনে গ্রামবাসী ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের বাহির থেকে গৃহবধূ রুমি বেগম ও ঘরের ভিতরে তার শাশুড়ি মালা বেগমের তবিত লাশ উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ হাসপাতাল গিয়ে লাশ দু‘টির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে। ওই রাতে এবং সোমবার সকালে পুলিশ সন্দেহজনক ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। রির্পোট লেখা পর্যন্ত তাদেরকে আদালতে সোর্পদ করার খবর পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে নিহত রুমির ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হলেও তাদের কাছ থেকে এখনও কোন তথ্য উদঘাটন করা যায়নি তবে আশা করছেন খুব শীঘ্রই এই হত্যাকান্ডের মুটিভ উদ্ধার করা সম্ভব হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর