,

‘নবীগঞ্জে এক ব্যবসায়ীকে আহত করে দেড় লক্ষ টাকা ছিনতাই’ সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

গতকাল ২১ই মে সোমবার দৈনিক সমাচার ও হবিগঞ্জ সময় পত্রিকায় উল্লেখিত শিরোনামীয় সংবাদটি আমার দৃষ্টি কেড়েছে। সংবাদে যাহাই প্রকাশ হয়েছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক। কারণ হচ্ছে আমি একজন
সিএনজি চালক। প্রায় ৭/৮ বছর যাবত আমি সুনামের সহিত সিএনজি চালিয়ে বিভিন্ন শ্রেনী পেশা লোকজনদের নিকট পরিচিতি অর্জন করেছি। গত রবিবার আমি আইনগাঁও টু নবীগঞ্জ সড়কে যাত্রী নিয়ে নবীগঞ্জ আসার সময় ওই সড়কে টুনাকান্দি রাস্তার মোড়ে সিএনজি দাঁড় করিয়ে একজন যাত্রীকে অন্য সিএনজিতে দেয়ার সময় রাস্তার পার্শ্বে রাখি। ওই সময়  মোটর সাইকেল যোগে সদরঘাট গ্রামের শেখ আনোয়ার মিয়া ওই সড়কে দিয়ে নবীগঞ্জ বাজার আসার পথে আমার সিএনজির কাছে এসে দ্রুত গতিতে যাবার চেষ্টা সময় কিছু ব্রেক করেন। এতে  অপর সিএনজি চালক আমীন মিয়ার সাথে তার তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এ সময় আমি কামাল মিয়া তাদের শান্তনা দিতে গিয়ে আমার সাথে বাধ সাজে। ওই সময় টুনাকান্দি গ্রামের মোঃ জলিল মিয়া মিডিয়া করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এর কিছু সময় পর আনোয়ার মিয়া আইনগাঁও সিএনজি কাউন্ডারে গিয়ে আমাদের সকল সিএনজি চালককে উদ্দেশ্য করে গালি-গালাজ করতে থাকেন, এবং বলেন যে তার সাথে থাকা সাড়ে চার লক্ষ টাকার চেক ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে আমি জিজ্ঞাসা করি যে বিষয়টি যেহেতু  মীমাংসা হয়েছে,তাই এ বিষয় নিয়ে অযথা বাড়াবাড়ি না করতে। এতে আনোয়ার মিয়া উত্তেজিত হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়ে একটি মিথ্যা নাটক সাজিয়ে সংবাদ কর্মী ভাইদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছেন, যে তার সাথে থাকা দেড় লক্ষ টাকা আমি ছিনতাই করে নিয়েছি। যাহা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়। আমি দেশ বাসীর কাছে বিচার চাচ্ছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ কর্মী ভাইদের সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমার স্বাক্ষী আছেন। তারাই প্রমাণ করবেন কে সত্য পথে আছেন এবং কে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সমাজে আমাকে হেয় করার পায়তারা করছে। আমার বিশ্বাস তিনি কাউকে খুশি করতে অথবা অবৈধ ফাঁয়দা হাসিল করতে টাকা লুট হয়েছে মর্মে চল-ছাতুরী করছেন। আমি মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
প্রতিবাদকারী
মোঃ কামাল মিয়া
পিতা ঃ মোঃ আছকর মিয়া
গ্রাম- রুদ্রগ্রাম
১০ নং দেবপাড়া ইউনিয়ন
উপজেলা- নবীগঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর