,

সাকিবের সানরাইজার্সকে হারিয়ে ফাইনালে উঠল ধনির চেন্নাই

সময় ডেস্ক ॥ চেন্নাইয়ের হয়ে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন ডু পেসি। আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে আজ সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে চেন্নাই সুপার কিংস। চেন্নাইয়ের হয়ে ৪২ বলে ৬৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন ফাফ ডু প্লেসি জয়ী দল সরাসরি নাম লেখাবে ফাইনালে। এই সুযোগটা সম্ভবত চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল দুই দলের জন্যই। অতি সাবধানে খেলতে গিয়ে বড় স্কোরের ম্যাচ হয়নি। কিন্তু তা না হলেও চাপের মুখে ভেঙে পড়েছেন সাকিব আল হাসানরা। নাটকীয় ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ২ উইকেটে হারিয়ে সরাসরি আইপিএলের ফাইনালে
উঠেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৩৯ রান তুলেছিল সানরাইজার্স। তাড়া করতে নেমে একপর্যায়ে ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকেছে চেন্নাই। কিন্তু চাপের মুখে ফাফ ডু প্লেসির দুর্দান্ত এক ইনিংসে জয় তুলে নেয় দলটি। জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ৪৩ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। কার্লোস ব্রাফেটের করা ১৮তম ওভার থেকে ২০ রান তুলে নেন ডু প্লেসি-হরভজন। এর মধ্যে ডু প্লেসি একাই তুলেছেন ১৮ রান। শেষ দুই ওভারে ২৩ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলেই চার মেরে ডু প্লেসির ওপর চাপ কিছুটা কমান শার্দুল ঠাকুর। সানরাইজার্স পেসার সিদ্ধার্থ কাউলের এই ওভার থেকে ১৭ রান তুলে নেন ডু প্লেসি ও শার্দুল। জয়ের জন্য চেন্নাইয়ের লক্ষ্যটা তাই শেষ ওভারে নেমে আসে মাত্র ৬ রানে। ২০তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে ৫ বল হাতে রেখে দুর্দান্ত জয় তুলে নেন ডু প্লেসি। ৪২ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থেকে চেন্নাইকে এক দারুণ জয় উপহার দিলেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। দুই বছর নিষিদ্ধ থাকার পর আইপিএলে ফিরেই ফাইনালে উঠল চেন্নাই। অবশ্য সানরাইজার্সের ফাইনালে ওঠার সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। ফাইনালে উঠতে হলে শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সাকিবদের জিততেই হবে। সানরাইজার্স অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এই ম্যাচে ছয়জন বোলার ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে সাকিবকে দিয়ে বোলিং করিয়েছেন মাত্র ২ ওভার। এই দুই ওভারে সাকিব ২০ রান দিলেও ম্যাচের শেষ দিকে চাপের মুহূর্তে উইলিয়ামসন কিন্তু তাঁকে ব্যবহার করতে পারতেন। অবশ্য আজ ম্যাচের শেষ দিকে বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংও ভালো হয়নি সানরাইজার্সের। ইনিংসের প্রথম বলেই তাঁরা হারিয়েছে শিখর ধাওয়ানকে। চেন্নাই পেসার দীপক চাহারের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন শিখর। এই পতন মড়ক হয়ে দেখা দেয় মিডল অর্ডারেও। কোনো ফিফটি নেই। সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ১২ রান। শেষ দিকে কার্লোস ব্রাফেট ২৯ বলে ৪৩ রান না করলে সানরাইজার্সের স্কোর এ পর্যন্ত আসত কি না সন্দেহ!  সানরাইজার্সের ইনিংসে শেষ ওভারেই এসেছে ২০ রান। এর মধ্যে ব্রাফেট শেষ বলে আউট হওয়ার আগে একাই তুলেছেন ১৮। ক্যারিবিয়ান এই ঝড়েই শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৩৯ রানের সাদামাটা স্কোর দাঁড় করায় সানরাইজার্স। চেন্নাইয়ের শুরুটাও ছিল সানরাইজার্সের প্রায় কাছাকাছি। ইনিংসের পঞ্চম বলেই শেন ওয়াটসনকে (০) ফিরিয়েছেন সানরাইজার্স পেসার ভুবনেশ্বর কুমার। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে সুরেশ রায়না (২২) ও অম্বতি রাইড়ুকে (০) ফিরিয়ে ম্যাচটা জমিয়ে তোলেন সানরাইজার্সের আরেক পেসার সিদ্ধার্থ কাউল। চেন্নাই তখন ২৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। এমন সময়ে উইকেটে আসেন ধোনি। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। অষ্টম ওভারে ধোনিকে তুলে নেন রশিদ খান। সানরাইজার্স স্পিনারের গুগলি বুঝতেই পারেননি চেন্নাই অধিনায়ক। স্বপ্নের মতো এক ডেলিভারিতে ধোনিকে (৯) বোল্ড আউট করে ফেরান এই আফগান লেগ স্পিনার। এরপর ১২ ও ১৩তম ওভারে ফিরেছেন ডোয়াইন ব্রাভো আর রবীন্দ্র জাদেজাও। ১২.৩ ওভারে ৬২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চেন্নাই তখন দিশেহারা। দীপক চাহারকে সঙ্গে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ১৫ বলে ৩০ রানের জুটিতে এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন ফাফ ডু প্লেসি। এরপর হরভজন সিংয়ের সঙ্গে ২১ ও শার্দুল ঠাকুরের সঙ্গে ২৭ রানের জুটি গড়ে চেন্নাইকে জয়টা এনে দিয়েছেন ডু প্লেসিই।


     এই বিভাগের আরো খবর