,

বিশ্বকাপে ভারতের কাছে পাকিস্তানের ৬ষ্ঠ পরাজয়

সময় ডেস্ক ॥ এবারও পারল না পাকিস্তান। বিশ্বকাপে ভারতের কাছে ৬ষ্ঠ পরাজয়ের স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো মিসবাহদের। অন্যদিকে প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে ভালো করতে না পারলেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে বিশ্বকাপের যাত্রা শুভ করল ধোনিরা। তবে বরাবরের মতো এই ম্যাচে ছিল না পাক-ভারত লড়াইয়ের জৌলুস। একপেশে ভাবেই জয় তুলে নিয়েছে গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। গতকাল রবিবার অস্ট্রেলিয়ার এডিলেডে অনুষ্ঠিত খেলায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭৬ রানের জয় পেয়েছে ভারত। কোহলির ১০৭ ও ধাওয়ানের ৭৩ রানের সুবাদে পাকিস্তানকে ৩০১ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। জবাবে ২২৪ রানেই থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ৩০১ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। দলীয় ১১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬ রানে মোহাম্মদ সামির বলে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ইউনিস খান। পরে আহমেদ সেহজাদ ও হারিস সোহাইল ৬৮ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। তবে সেই পথচলাও খুব বেশি দীর্ঘ হয়নি। রবীচন্দ্রন অশ্বিনের বলে স্লিপে সুরেশ রাইনার হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন হারিস সোহাইল। দলীয় রান তখন ৮৩/২। এরপর ১০২ রানের মাথায় জোড়া আঘাত হানেন ভারতের আক্রমণভাগের অন্যতম স্তম্ভ উমেশ যাদব। এখানেই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে পাকিস্তান। জাদেজার হাতে আহমেদ সেহজাদ ও রাইনার হাতে ধরা পড়েন সোয়েব মাকসুদ। মিডল অর্ডারে শেষ পেরেক ঢুকে দেন জাদেজা। তার বলে ধোনির হাতে ক্যাচ দেন উমর আকমল। পরে দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক ও শহিদ আফ্রিদি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই চেষ্টাও থেমে যায় ১৪৯ রানে। ব্যক্তিগত ২২ রান করে সামির বলে কোহলির হাতে ধরা পড়েন আফ্রিদি। এর কিছুক্ষণ পরেই ওয়াহাব রিয়াজকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচের বাইরে ছুড়ে ফেলেন সামি। মিসবাহদের স্কোর দাঁড়ায় ১৫৪/৭। এরপর ব্যক্তিগত ৭৬ রানে মিসবাহ আউট হয়ে গেলে পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় পাকিস্তানের। ভারতের পক্ষে মোহাম্মদ সামি ৪টি, উমেশ যাদব ২টি এবং মুহিত শর্মা, অশ্বিন ও জাদেজা ১টি করে উইকেট পেয়েছেন। এর আগে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যাট করতে নেমে সতর্কভাবে শুরু করেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ান। তবে পাঁচ ওভার পেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই রানের জন্য অস্থির হয়ে ওঠেন তারা। খেসারতও দিতে হয় হাতে হাতেই। দলীয় ৩৪ রানের মাথায় সোহাইল খানের একটি শট বল হাঁকাতে গিয়ে উইকেটের পাশেই ক্যাচ তুলে দেন রোহিত শর্মা। পরে ধাওয়ান ও কোহলির দৃঢ়তায় সুবিধাজনক স্থানে পৌঁছায় ভারত। ১ উইকেটের বিনিময়ে দেড়’শ পেরোয় স্কোর। দুজনে মিলে গড়েন ১২৯ রানের জুটি। কিন্তু যখন দ্রুত গতিতে রান তোলার দরকার, ঠিক তখনই দলীয় ১৬৩ রানের মাথায় একটি শট রান নিতে গিয়ে রানআউটের ফাঁদে পড়েন ধাওয়ান। এরপর কোহলির সঙ্গে জুটি গড়েন সুরেশ রাইনা। এ দুজনে মিলে সংগ্রহ করেন আরও ১১০ রান। ২৭৩ রানের মাথায় সোহাইল খানের বলে উইকেটরক্ষক উমর আকমলের হাতে ক্যাচ দেন বিরাট কোহলি। এর আগে ১২৬ বল থেকে ১০৭ রান সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর সোহাইল খানের তান্ডবের মুখে দাঁড়াতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যানই। পাকিস্তানের পক্ষে সোহাইল খান পাঁচটি ও আব্দুল ওয়াহাব একটি উইকেট পেয়েছেন। সোহাইল খানের বলে মিসবাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলি, সুরেশ রাইনা, ধোনি ও রাহানেকেও নিজের শিকারে পরিণত করেন তিনি।


     এই বিভাগের আরো খবর