,

হবিগঞ্জের নিয়োগ পরীক্ষা হবে সিলেটে ভোগান্তিতে ১৪৮৬০ প্রার্থী

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার নিয়োগ পরীক্ষা হবে আগামী ৬ জুলাই সিলেটে। এ কারণে ১৫ হাজার চাকরিপ্রার্থী ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে। পরীক্ষা আয়োজনকারী সিলেট বিভাগীয় প্রশাসক ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, ‘এই নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের জন্য অন্তত ৪০ জন কর্মকর্তা প্রয়োজন। হবিগঞ্জে এত পরিমাণ কর্মকর্তার আবাসনের ব্যবস্থা নেই। এ ছাড়া নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। তাই সিলেটে পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘অনেকে চাকরির জন্য ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষা দেয়। সিলেটে এসে পরীক্ষা দেওয়া তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’ তবে পরীক্ষার্থীরা জানান, হবিগঞ্জ থেকে সিলেট যেতে বাস ভাড়া ১৫০ টাকা। সময় লাগে আড়াই ঘণ্টা। ভোরে সর্বোচ্চ চারটি বাসে ২০০ জন যেতে পারবেন। অন্যরা কী করবেন? ভোরে কোনো ট্রেনও নেই। বিকল্প, আগের দিন গিয়ে হোটেলে থেকে পরীক্ষা দেওয়া। সে ক্ষেত্রে যে খরচ হবে, তা বহন করার সামর্থ্য অনেকের নেই। সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখা থেকে ছয়টি ক্যাটাগরিতে ৪১টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ১০০ টাকার চালানসহ প্রায় ১৫ হাজার আবেদন জমা পড়ে। যাচাই-বাছাই শেষে প্রবেশপত্র ইস্যু হয় ১৪ হাজার ৮৬০ জনের নামে। এর মধ্যে নাজির-কাম-ক্যাশিয়ার সাতটি পদে দুই হাজার ১৩০ জন, সার্টিফিকেট পেশকার সাতটি পদে তিন হাজার ৪৮৮ জন, সার্টিফিকেট সহকারী ছয়টি পদে দুই হাজার ৮৮ জন, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ছয়টি পদে ৭৫২ জন, ক্রেডিট চেকিং-কাম-সায়রাত সহকারী ১৪টি পদে ছয় হাজার ২৭১ জন এবং কার্য সহকারী একটি পদের বিপরীতে ১৩১ জন রয়েছেন। ৬ জুলাই সকাল ১০টায় সিলেট শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় নির্বাচনী কমিটির সভাপতি হলেন বিভাগীয় প্রশাসক এবং স্টাফ অফিসার হলেন সদস্যসচিব। এদিকে এই খবর জানতে পেরে আবেদনকারীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কারণ তাঁদের আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় এই ছোট পদে আবেদন করে এখন টাকা খরচ করে কিভাবে পরীক্ষা দেবেন? এই চিন্তা সবার। গড়ে একটি পদে ৩৬১ জনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। এর ওপর রয়েছে বিভিন্ন কোটা। ফলে অনেকে পরীক্ষা দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহমুদল কবীর মুরাদ বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার করণীয় কিছু নেই। এই নিয়োগের নির্বাচন কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় প্রশাসক অফিস। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে সিলেটে পরীক্ষা আয়োজনের।’


     এই বিভাগের আরো খবর