,

নবীগঞ্জের বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সংবাদ সম্মেলন

বয়স্ক ও অছাত্রদের দিয়ে কমিটি ঘোষনার অভিযোগ ॥ অতিদ্রুত কমিটি বাতিলের দাবী

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন সম্পর্কের কারনে কতিপয় মৌসুমী হাইব্রীড নেতার তদবীরে নবীগঞ্জ উপজেলা এবং পৌর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নবীগঞ্জের বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতারা। গতকাল বুধবার বিকেলে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এমন অভিযোগ করে বলেন, বয়স্ক এবং অছাত্রদের দিয়ে এই কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর চৌধুরী সালমান ও সহ-সভাপতি মহিনুর রহমান ওহির নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ নেতারা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বলেন, সম্প্রতি উপজেলা ও পৌর কমিটি জেলা থেকে অনুমোদন করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পূর্বের রাতে শাহ ফয়সল তালুকদারকে সভাপতি ও মাহবুবুর রহমান রাজুকে সাধারন সম্পাদক করে নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ এবং মোঃ বাবলু আহমেদকে সভাপতি ও সিদ্ধার্থ শংকর ভট্টাচার্য্য শুভকে সাধারন সম্পাদক করে নবীগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য অনুসারে উপজেলা সভাপতি ফয়সলের বয়স ৩১ বছর ২ মাস এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণী পাশ। পৌর কমিটির সভাপতি বাবলুর বয়স ২৯ বছর ৬ মাস এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা ৫ম শ্রেণী। পৌর কমিটির সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক পৌর এলাকার ভোটার কিংবা বাসিন্দাও নন। সভাপতি বাবলুর স্থায়ী ঠিকানা ৬নং কুর্শি ইউপির রতনপুর গ্রামে এবং সাধারন সম্পাদক শুভর স্থায়ী ঠিকানা ৮নং ইউনিয়নের আদিত্যপুর গ্রামে। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বলেন, যদি এই কমিটি বাতিল না করা হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনসহ আইনের আশ্রয় নেয়ার ঘোষনা দেন। তারা আরো বলেন, প্রয়োজনে তারা বয়স এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি নিয়ে হাই কোর্টে যাবেন। তারা বলেন, এর আগেও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে ২০১৬ সালে নবীগঞ্জে কমিটি হওয়ার পরে নিয়মিত ছাত্র ও ত্যাগী ও সক্রিয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিলে প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকে রক্তক্ষয়ী সংঘাত সংঘর্ষের মত ঘটনা। এরই প্রেক্ষিতে বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ওই কমিটি স্থগিত করে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে নেতাকর্মীরা জানান, মেধাবী, নিয়মিত ছাত্র, সক্রিয় ত্যাগী নেতাকর্মীদেরকে দিয়ে কমিটি গঠনের জোর দাবী জানান। এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি বলেন, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্বচ্ছভাবে কমিটি দিয়েছেন তিনি। নবীগঞ্জে সম্পর্কের কারনে হয়ত কমিটি দিয়েছেন তিনি। উপরোক্ত অভিযোগ যাচাই বাছাই করে সেখানে অচিরেই নতুনভাবে কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নিবেন বলে জানান। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, নবীগঞ্জে কমিটি নিয়ে যে বিরোধ দেখা দিয়েছে তা স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সমাধানের উদ্যোগ অতিদ্রুত নেয়া হবে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিদায়ী সাধারন সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন এর সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।


     এই বিভাগের আরো খবর