,

নবীগঞ্জে ছুরিঘাতে আহত হামদু তালুকদারকে আশংঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব তিমিরপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ সহোদরসহ আহত ১০। আহতদের মধ্যে আশংঙ্কাজনক অবস্থায় হামদু মিয়া তালুকদারকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানাযায়, গত রবিবার রাতে হামদু মিয়া তালুকদারের বাড়ীতে কয়েকজন মেহমান আসে। এ সময় পথিমধ্যে শাকিল মিয়ার পক্ষের মান্নাসহ কয়েকজন লোক তাদের অপমান করে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার দুপুরে হামদু মিয়া তালুকদার প্রতিপক্ষের মান্না মিয়াকে পেয়ে তার বাড়ীতে আগত মেহমানকে অপমান করার কারণ জিঙ্গাসা করলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাকিল মিয়াসহ তার লোকজন ধারোলো অস্ত্র দিয়ে হামদু মিয়ার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা ছুরি দিয়ে হামদু মিয়ার পেটে ছুরিঘাকাত করলে ওই ছুরি পেটের ভিতরে বৃদ্ধ অবস্থায় আটকা থাকে। হামলার খবর পেয়ে হামদুর ভাইয়েরা এগিয়ে আসলে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে হামদুসহ অপর ৩ ভাই আজিজুর রহমান সাফি তালুকদার (২৮), বেলাল মিয়া তালুকদার (২৪) ও ইকবাল মিয়া তালুকদার (২০) আহত হয়। এ সময় অপর পক্ষের শাকিল মিয়া (৩০), গোলাপ মিয়া (৫৫), কায়েছ মিয়া (১৯), জীবন মিয়া (১৫) আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে পেটে ছুরি ঢুকানো অবস্থায় হামদু মিয়া তালুকদার, তার ভাই আজিজুর রহমান তালুকদার সাফি, বেলাল মিয়া তালুকদার, কায়েছ মিয়া, জীবন মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও গোলাপ মিয়াকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ রিপোর্টা লেখা পয়র্ন্ত এ প্রতিনিধিকে আহত বেলাল মিয়া তালুকদার জানান ছুরিটি হামদুর পেটের ভিতর থেকে বের করতে পারেননি চিকিৎসকরা। হামলার ঘটনায় ৮/১০ জনের নাম উল্লেখ করে নবীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের খবর পাওয়া গেছে। সৃষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।  উল্লেখ্য, গ্রামে মকছুদ মিয়া তালুকদারের ছেলে হামদু মিয়া তালুকদার এবং একই গ্রামের গোলাপ মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল বলে গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়।


     এই বিভাগের আরো খবর