জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দীঘলবাগ গ্রামের কবির কলেজের ছাত্রীকে ইভটিজিং করার অভিযোগে ছাত্রদল কর্মীসহ দুই জনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আহমেদের আদালতে তারা হাজির জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন। বাদী পরে মামলা পরিচালনা করেন নারী শিশু কোর্টের এপিপি মোঃ আতাউর রহমান ও এড. হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। আসামী পক্ষে ছিলেন মোঃ রহমত এলাহীসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবি। মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই গ্রামের আব্দুল মতিনের কন্যা কবির কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ইমরানা আক্তার (১৮) গত ১৬ মে সকাল ১০ টায় কলেজে যাওয়ার পথে পার্শ্ববর্তী রায়ধর গ্রামের ইদু মিয়ার পুত্র ছাত্রদল কর্মী আরিফ মিয়া (২৫) ও একই গ্রামের উসমান গণির পুত্র রুবেল মিয়া (২০) ইমরানা আক্তারকে ইভটিজিং করে। সে কলেজে না গিয়ে বাড়িতে গিয়ে তার মা ও বোনকে বিষয়টি জানায়। তারা বিচার প্রার্থী হয় ইভটিজারদের অভিভাবকদের কাছে। এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে উল্লেখিতরাসহ মৃত কালু মিয়ার পুত্র জিতু মিয়া, তার পুত্র জামাল মিয়া, ফিরোজ মিয়ার পুত্র মাসুক মিয়া ও উসমান গণির পুত্র রুবেল মিয়াসহ একদল যুবক ইমরানার ঘরে হামলা ভাংচুর মারপিট ও লুটপাট চালায়। এ সময় রুবেল মিয়া ইমরানার বোনকে শ্রীলতাহানি করে। এ ঘটনায় ইমরানা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে আরিফ জামাল ও জিতু মিয়া হাইকোর্ট থেকে ১ মাসের জামিন লাভ করে। গতকাল মেয়াদ শেষ হলে তারা আদালতে হাজির। আদালত জামাল ও আরিফের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন এবং জিতু মিয়াকে জামিন প্রদান করেন। এ ব্যাপারে উক্ত মামলার মুল আইনজীবি মোঃ আতাউর রহমান জানান, বাদী ন্যায় বিচার পেয়েছে।