,

গুহায় আটকে পড়া সবাই উদ্ধার

সময় ডেস্ক ॥ থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া ১২ ফুটবলার ও তাদের কোচকে নিরাপদে বের করে এনেছে উদ্ধারকর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের নৌ বাহিনীর বিশেষ ইউনিট ‘সিল’ উদ্ধার তৎপরতার সফল সমাপ্তি টানেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃত ফুটবলার ও তাদের কোচ বেশ সুস্থ আছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবরে বলা হয়, দুই সপ্তাহেরও অধিক সময় ধরে ১২ ফুববলার ও তাদের কোচ ওই গুহার গভীরে আটকে ছিলেন। তাদের উদ্ধারে চালানো অভিযানের তৃতীয় দিনে মঙ্গলবার সবাইকে বের করে আনতে সক্ষম হন থাই নৌ বাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, এদিন সবাইকে বের করে আনা সম্ভব হবে না। এক কিশোর বা কোচকে গুহার মধ্যে একাকী রাত কাটানো লাগতে পারে। কিন্তু ‘সিল’ সদস্যরা অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়ে সবাইকে নিরাপদে বের করে আনেন। নিজেদের ফেসবুক পেজে ‘সিল’ জানিয়েছে, ‘ওয়াইল্ড বোর ফুটবল টিমের ১২ কিশোর সদস্য ও তাদের কোচকে গুহা থেকে বের করে আনা হয়েছে। বর্তমানে তারা নিরাপদে আছেন। তিন দিনের উদ্ধার অভিযানে আটকে পড়া সবাইকে বের করে আনতে সক্ষম হলেন উদ্ধারকর্মীরা। অভিযানের প্রথম দিন রোববার পাঁচ কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। দ্বিতীয় দিনে উদ্ধার হয় আরো তিন কিশোর। বাকি ৫ জনকে উদ্ধার করতে মঙ্গলবার সকালে থাইল্যান্ডের সেই ভয়াবহ গুহায় আবারো অভিযান শুরু করা হয়। একে একে বের করে আনা হয় আরো তিন কিশোরকে। বিকালের দিকে উদ্ধারকর্মীরা জানান, মঙ্গলবার দিনের আলো ফুরিয়ে যাওয়ার আগে আটকে থাকা বাকি দু’জনের মাত্র একজনকে উদ্ধার করতে পারবেন তারা। এক্ষেত্রে, কোচকে গুহার মধ্যে একাকী রাত কাটানো লাগতে পারে। কিন্তু পরে উদ্ধারকর্মীরা অসামান্য দক্ষতা দেখিয়ে দু’জনকেই বের করতে সক্ষম হন। এর মধ্য দিয়ে আটকে পড়াদের পরিবার ও বিশ্ববাসীর উৎকণ্ঠার পরিসমাপ্তি ঘটে। উদ্ধারকারীরা যে ভূমিকা নিয়েছেন তার জন্য চারদিক থেকে প্রশংসা আসছে। বালকদের উদ্ধারে যে পরিমাণ সময় লাগার কথা বলা হচ্ছিল তার চেয়ে অনেক অল্প সময়ের মধ্যে তারা সফল হয়েছেন। উদ্ধার অভিযানের প্রধান নারোংসাক ওসোত্তানাকর্ন বলেছেন, উদ্ধারকারীদের রয়েছে পূর্ব অভিজ্ঞতা। বালকরা যেখানে আটকে ছিল তা গুহামুখ থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে। সেখানে অভিযান চালাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে উদ্ধারকারীদের। এ টিমে রয়েছেন বিদেশি ডুবুরি ও থাই নেভি সিলের সদস্যরা। তারা অসাধারণ দক্ষতায় পানিতে ডুবে থাকা ওই গুহা থেকে বালকদের উদ্ধার করেছেন। তারা যখন বালকদের উদ্ধার করে আনছেন তখন পুরো থাইল্যান্ড যেন আনন্দে নেচে উঠছে। বিশেষ করে মাই সাই প্রাসিটসার্ট স্কুল। এই স্কুলেরই ৬টি বালক ছিল আটকে পড়াদের মধ্যে।


     এই বিভাগের আরো খবর