,

স্বপ্ন পুরণ হল না পালিয়ে যাওয়া হবিগঞ্জের প্রেমিক জুটির

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ শহর থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রেমিক জুটির স্বপ্ন পুরণ হল না। বেরসিক পুলিশের হাতে ধরা পরে প্রেমিকের ঠিকানা হল শ্রীঘরে। প্রেমিকার ঠিকানা হল মায়ের বাড়িতে। এ ঘটনা নিয়ে সর্বত্র রসালো আলোচনার ঝড় উঠেছে। সূত্র জানায়, পশ্চিম ভাদৈ গ্রামের আব্দুর রশিদের কন্যা হবিগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী শারমিন সুলতানা ডালিয়ার সাথে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় শহরের ইউনাইটেড শিশু হাসপাতালের ম্যানেজার সামছুর রহমান আলমের পুত্র বর্তমান স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা শাহেদ মাহবুব আকাশ ওরফে রাজু (২০) এর সাথে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ঘরে উঠে। এক জন আরেকজনকে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। প্রায়ই কলেজ ফাঁকি দিয়ে ডালিয়া রাজুর সাথে বিভিন্ন কপি হাইজে দেখা করত। বিষয়টি ডালিয়ার পিতার চোখে পরে। ডালিয়ার পিতা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে রাজুর বাড়ি ঝিনাইদ জেলার ১০৫ নাম্বার নাখলা পাড়ার বাসিন্দা মৃত মুন্সি শাহেদ শাহিনের পুত্র রাজু। ৫ বছর আগে রাজুর পিতা মারা যাওয়ার পর মা নার্গিস আক্তার (৪৫) এর ইউনাইটেডের ম্যানেজার সামছুর রহমান আলমের সাথে তার বিয়ে হয়। এ খোঁজ খবর নিয়ে আব্দুর রশিদ ডালিয়াকে রাজুর সাথে মেলা মেশা করতে বারণ করে। তার এ নিষেধ উপেক্ষা করে তারা প্রেম কাহীনি চালিয়ে যায়। গত ১২ জুলাই রাজু ও ডালিয়া অজানার উদ্যোশ্যে পাড়ি জমিয়ে মাগুরা জেলা সদরের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ঘর সংসার করতে থাকে। এদিকে, আব্দুর রশিদ তার একমাত্র কন্যাকে হারিয়ে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। খোঁজাখুজি করে কোন সন্ধ্যান না পেয়ে অবশেষ সদর থানায় দরখাস্ত দিলে পুলিশ তাকে মামলা দিতে বলে। গত ১৬ জুলাই ডালিয়ার মা রাহেনা খাতুন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে এসআই কামাল হোসেন একদল পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়ে রাজুর মা নার্গিস আক্তার ও সৎপিতা সামছুর রহমান আলমকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার রাতে মাগুরার ওই ভাড়াটিয়া বাসা থেকে প্রেমিক যুগলকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে আসে। গতকাল বুধবার বিকেলে প্রেমিক ও তার মা বাবা এবং প্রেমিকাকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত ডালিয়ার জবানন্দি রেখে তার মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেয় এবং প্রেমিক রাজু ও তার মা নার্গিস ও পিতা সামছুর রহমান আলমকে কারাগারে পেরণের নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে এসআই কামাল হোসেন জানান, মামলা রুজু হওয়ার ৮ ঘন্টার মধ্যে প্রেমিক যুবলকে উদ্ধার করেন তিনি।


     এই বিভাগের আরো খবর