,

হবিগঞ্জে এক সুন্দরী স্ত্রীকে নিয়ে তিন স্বামীর রশি টানাটানি

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ আদালত পাড়ায় ঢাকাইয়া এক সুন্দরী স্ত্রীকে নিয়ে হবিগঞ্জের তিন স্বামীর রশি টানাটানি শুরু হয়েছে। অবশেষে পুলিশী প্রহরায় হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় যেতে হয়েছে ওই সুন্দরী গৃহবধুকে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর কোর্টের দুতলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বারান্দায় এ রাসালো ঘটানাটি ঘটে। সূত্র জানায়, সূত্র জানায় ঢাকা জেলার বাটারা উপজেলার অলিপাড়া এলাকার ফয়জযুর রহমানের কন্যা ফারজানা খানম (৩০) এর সাথে প্রেমের সূত্রধরে বিয়ে হয় মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা গ্রামের মৃত নানু মিয়ার পুত্র সাখাওয়াত হোসেন (৩০) এর। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করে। যার নাম শেখ মরিয়ম। বসয় ৪। সম্প্রতি তাদের মধ্যে মনমালিন্যতা সৃষ্টি হলে ফারজানা এক বছর আগে সাখাওয়াত হোসেনকে এফিডেভিটের মাধ্যমে তালাক প্রদান করে। এর পর হবিগঞ্জের জসিম নামে এক যুবককে বিয়ে করে। এর আগেও তার হবিগঞ্জ শহরে একটি ছেলের সাথে তার বিয়ে হয়। সেটিরও বিচ্ছেদ ঘটে। এদিকে, সাখাওয়াত হোসেন তার কন্যাকে পাওয়ার জন্য ৮ এপ্রিল ফারজানাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে আদালতে। এদিকে, সাখাওয়াতের হুমকি দামকির কারণে ফারজানা বিমুর্ষ হয়ে পড়ে। কোন উপায় না পেয়ে হবিগঞ্জের সাবেক স্বামী ও বর্তমান স্বামী জসিমকে নিয়ে গত মঙ্গলবার মামলার তারিখে হবিগঞ্জে হাজিরা দিতে আসে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রায় দেন সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত মরিয়ম ফারজানার কাছে থাকবে। আদালত থেকে বের হয়ে বারান্দায় আসলে সাখাওয়াত হোসেন ও তার লোকজন ফারজানার হাতে ধরে টানা হেচরা শুরু করে। এতে করে আদালত পাড়ায় হট্রগোল শুরু হয়। এক পর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সিএসআই সিরাজ উদ্দিনকে ডেকে ফারজানাকে পুলিশের মাধ্যমে ঢাকায় পৌছানোর জন্য নির্দেশ দেন। পরে তিনি সদর থানার পুলিশ পাহারায় মাধবপুর পার করে দিয়ে আসেন। এনিয়ে আদালত পাড়ায় রসালো আলোচনার ঝড় বইছে।


     এই বিভাগের আরো খবর