,

নবীগঞ্জে গার্মেন্টস কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ॥ স্বামী ও ১ম স্ত্রী আটক

চাকুরীর সুবাধে অপারেটর রুমির সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে রানা

আনোয়ার হোসেন মিঠু / মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি থেকে জেআইসি স্যুট গার্মেন্টস কর্মী রুমি আক্তার নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার সকাল ১০ টায় আউশকান্দি-হীরাগঞ্জ বাজারে সোবহান ম্যানশনের ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় গার্মেন্টস কর্মী স্বামী নূর আলম আহমেদ রানা ও তার ১ম স্ত্রী রিনা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, প্রায় ৪ বছর ধরে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ছিলিমপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিন মিয়ার পুত্র নূর আলম আহমেদ রানা প্রায় ১২ বছর আগের বিবাহিত স্ত্রী রিনা বেগমকে সাথে নিয়ে প্রায় ৪ বছর ধরে আউশকান্দি জেআইসি স্যুট গার্মেন্টসে লাইন চীপ পদে চাকুরী করে আসছিল। একই কোম্পানীতে তার স্ত্রী রিনা বেগমও জেনারেল অপারেটর পদে চাকুরী করেন। নূর আলম গার্মেন্টসে চাকুরীর সুবাধে আরেক অপারেটর রুমির সঙ্গে পরকিয়া প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলে তাকে ফুঁসলিয়ে প্রায় ৩ মাস পূর্বে ২য় বিয়ে করে। গতকাল শনিবার ভোরে নূর আলমের সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে রুমি এবং নূর আলমের ১ম স্ত্রী রিনা বেগমের সঙ্গে ঝগড়া হয়। সকাল ১০ টার দিকে নবীগঞ্জ থানার এস.আই সামিউল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে ভাড়াটিয়া বাসার একটি করে দরজা ভেঙ্গে জানালার গ্রিলের সাথে রুমি বেগমের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। নিহত রুমি উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের জালালসাফ গ্রামের দিন মজুর আশ্বদ মিয়ার কন্যা। রুমির লাশ উদ্ধার ও ২ জন আটকের বিষয়টি নবীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মোঃ নূরুল ইসলাম নিশ্চত করেছেন। উল্লেখ্য, হেলাল উদ্দিন মিয়ার পুত্র নূর আলম আহমেদ রানা প্রায় ৪ বছর ধরে আউশকান্দি থেকে জেআইসি স্যুট গার্মেন্টসে তার ১ম স্ত্রী রিনাসহ চাকুরী করে এবং নবীগঞ্জ আউশকান্দি-হীরাগঞ্জ বাজারে সুবহান ম্যানশনে বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছিল। এখানে চাকুরীর সুবাধে নূর আলম ওই গার্মেন্টেস এর অপর কর্মী নবীগঞ্জের রুমি আক্তারের সাথে পরকিয়া প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে সে রুমিকে প্রায় ৩ মাস পূর্বে বিয়ে করে অপর একটি বাসায় বসবাস করে আসছিল। চলতি মাসের ১ আগষ্ট নূর আলম দুই স্ত্রীকে এক বাসায় এনে বসবাস শুরু করে। এখানে এক সাথে বসবাসের কারণে প্রায়ই ঝগড়া লেগেই থাকত। এরই জের ধরে রুমি আত্মহননের পথ বেঁেচ নেয় বলে ধারনা করা হচ্ছে।


     এই বিভাগের আরো খবর