,

হবিগঞ্জে প্রেম করে বিয়ে করায় যুবতীকে ২৪ ঘন্টা তালাবদ্ধ করে রাখে পিতা-মাতা

অবশেষে স্বামীর মামলায় উদ্ধার করেছে পুলিশ

ফয়সল ইসলাম ॥ হবিগঞ্জ শহরে উত্তর শ্যামলী এলাকায় প্রেম করে বিয়ে করার অপরাধে রুখসানা চৌধুরী নামে এক যুবতীকে ২৪ ঘন্টা তালাবদ্ধ করে রেখেছে পিতা-মাতা। অবশেষে স্বামীর মামলায় ওই যুবতিকে পুলিশ উদ্ধার করে আদালতে প্রেরণ করে।  এদিকে, আদালত প্রাঙ্গণে এ নিয়ে এক লংকা-কান্ড ঘটনা ঘটে। মামলার বিবরণে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের এনামুল হক চৌধুরীর কন্যা রুখসানার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে একই গ্রামের মৃত চান মিয়া চৌধুরীর পুত্র ব্যবসায়ী শাহিন চৌধুরীর সাথে। কিন্তু শাহিন গরীব হওয়ায় রুখসানার বিত্তশালী পিতা মেনে নেয়নি। এদিকে একজন আরেকজনকে কাছে পেতে বেপরোয়া হয়ে উঠে। প্রেমে বিভোর হয়ে গত ১২ আগস্ট কোর্টে এসে এফিডেভিটের মাধ্যমে ও রেজিস্টারী কাবিনমুলে বিয়ে করে। বিষয়টি চাউর হলে রুখসানার পিতা-মাতা গত রবিবার সকালে রুখসানাকে তাদের উত্তর শ্যামলী ভাড়াটিয়া বাসায় একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। খবরটি স্বামীর কানে পৌছলে সে সদর থানায় আশ্রয় নেয়। যেহেতু পারিবারিক বিষয় পুলিশ আদালতের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিলে শাহীন গতকাল সোমবার দুপুরে তার স্ত্রীকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাওয়ার জন্য তার শ^শুর এনামুল হক চৌধুরী ও স্ত্রী বিউটি আক্তারকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। আদালত ভিকটিমকে উদ্ধার করে আদালতে প্রেরণের জন্য আদেশ প্রদান করেন। আদেশের প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বেলা ২টার দিকে সদর থানার এসআই আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উত্তর শ্যামলী নজরুল ইসলামের ভাড়াটিয়া এনামুল হক চৌধুরীর বাসায় অভিযান চালিয়ে ওই কক্ষ থেকে আটক অবস্থায় উদ্ধার করে আদালতে প্রেরণ করেন। আদালত কাগজপত্র দেখে ভিকটিমকে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি রেখে সে তার স্বামীর জিম্মায় যেতে চাইলে রুখসানা সাবালিকা হওয়ায় তার স্বামীর জিম্মায় দেয়া হয়। এদিকে স্বামী স্ত্রী আদালতের বারান্দায় আসলে এনামুল সহ একদল লোক রুখসানকে স্বামীর কাছে থেকে জোরপুর্বক ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। তখন আদালত পাড়ায় হট্টগোল শুরু হয়। উভয় দলের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। খবর পেয়ে কোর্ট পুলিশ এগিয়ে আসলে এনামুল ব্যর্থ হয়ে সটকে পড়ে। তার কন্যাকে ছিনিয়ে আনতে না পেরে গতকাল সোমবার রাতে শাহীন চৌধুরীর বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং পিতামাতাকে পিটিয়ে আহত করে। এ ব্যাপারে এসআই আব্দুর রহিম জানান, আদালতের আদেশ মতে ভিকটিমকে উদ্ধার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। যদি আদালত পাড়ায় কোন ধাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনা ঘটে তাহলে এটি আদালত এবং কোর্ট পুলিশের দায়িত্ব। আমাদের কিছু করা নেই।


     এই বিভাগের আরো খবর