,

নবীগঞ্জে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করতে গিয়ে প্রেমিকার বিষপান

মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে গিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে সুমি বেগম (১৯) নামের এক তরুণী। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের মোতাজিলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই তরুণী বর্তমানে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে ওই গ্রামের হামিদুর রহমান (কাছন মিয়া)’র কন্যা। এনিয়ে উভয় পরিবারের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। সূত্রে জানাযায়, মোতাজিলপুর গ্রামের আঃ হাদির পুত্র সিএনজি অটোরিকশা চালক বদরুল মিয়ার সাথে পাশের বাড়ির হামিদুর রহমান (কাছন মিয়া)’র কন্যা সুমি বেগমের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল তাদের মন দেয়া নেয়া। সম্প্রতি বিয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে প্রেমিকা সুমি বেগম। কিন্তু প্রেমিক বদরুল কিছুদিন ধরে তাকে এড়িয়ে চললে ঘটে বিপত্তি। সন্দেহের দানা বাঁধতে শুরু করে সুমির মনে। আর সেই সন্দেহ দূর করতেই অবস্থান নেয় প্রেমিকের বাড়িতে। গতকাল বিকেলে বিয়ের দাবীতে বদরুলের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে প্রেমিকা সুমি বেগম শুরু করে অনশন। এতে কোন সাড়া না পেয়ে বেঁচে নেয় আত্মহত্যার পথ। একপর্যায়ে বিকেলের দিকে সুমি বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা বেগতিক দেখে প্রেরণ করেন হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধিন রয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে সুমির পিতা কাছন মিয়া জানান ‘গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় আমি ও আমার স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে আঃ হাদি’র পুত্র সিএনজি অটোরিকশা চালক বদরুল মিয়া ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে আমার মেয়ে সুমিকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এ সময় আমার মা এগিয়ে এলে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বদরুল পালিয়ে যায়। বিষয়টি আমি বদরুলের অভিভাবকসহ গ্রামের মুরুব্বিদেরকে জানালেও কোন কাজ হয়নি। গতকাল বদরুল আমার মেয়েকে ফোন করে তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বললে আমার মেয়ে তাদের বাড়িতে যায়। এ সময় বদরুল বাড়িতে ছিলনা। তার পিতাসহ আত্মীয় স্বজন মিলে আমার মেয়েকে মারধর করলে সে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অপর দিকে বদরুলের চাচা সাদিক মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বদরুল এবং সুমির প্রেমের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি জানান, বদরুল ধর্ষণের কোন চেষ্টা করেনি। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে সুমি তাকে মোবাইল ফোনের চার্জার নিয়ে তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বললে বদরুল চার্জার নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে চার্জার দিয়ে চলে আসে। তিনি আরো জানান, গতকাল শুক্রবার বিকেলে কাছন মিয়ার কন্যা সুমি বেগম বিষের বোতল হাতে নিয়ে তাদের বাড়িতে যায় এবং জোরর্র্পূবক ঘরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে তার সাথে থাকা বিষ পান করে চটপট করতে শুরু করে। এ ব্যাপারে কুর্শি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ শামছুল ইসলাম সুজন বলেন, তিনি নবীগঞ্জের বাহিরে থাকায় এ ঘটনা সর্ম্পকে তিনি কিছুই জানেনা বলে জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর