,

ভাকৈর ইউপি আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী গৌতম দাশসহ ৩ জন জেল হাজতে

নবীগঞ্জে কলেজ ছাত্র অনুজ রায় হত্যাকান্ড

স্টাফ রিপোর্টার : নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক গৌতম কুমার দাশসহ ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন বিজ্ঞ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ ছাত্র অনুজ রায় হত্যাকান্ডের মামলায় আত্ম সমর্পন করলে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সনের ১২ নভেম্বর জগন্নাথপুর গ্রামের শচীন্দ দাশের ধানের গোলা থেকে সিলেট মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ২য় বর্ষের ছাত্র অনুজ কান্তি রায়ের (২১) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় অনুজের পরিবারের দাবি ছিল এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের অখিল রায়ের ছেলে অনুজ সিলেট মদন মোহন কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি সিলেটে হোস্টেলে থেকে লেখা পড়া করতেন। হত্যাকান্ডের কয়েক দিন পুর্বে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন অনুজ। ওই বছরের ১১ নভেম্বর তারিখে সিলেট যাওয়ার উদ্দেশে নিজ বাড়ি থেকে রওয়ানা হন। পরদিন ১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজন কলেজ ছাত্র অনুজের লাশ দেখতে পান একই গ্রামের শচিন্দ্র দাশের ধানের গোলায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে অনুজের মৃতদেহ সনাক্ত করেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অনুজের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে লাশ প্রেরণ করা হয়। লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে অজ্ঞাতনামা আসামী করে নিহতের মা সবিতা রানী রায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অনুজের পরিবারের লোকজনের দাবীর প্রেক্ষিতে একই গ্রামের সুখলাল দাশের ছেলে সুমন দাশকে আটক করে পুলিশ। পরে সুমনের স্বীকারোক্তি মতে নির্জন একটি স্থান থেকে নিহত অনুজ রায়ের কাপড়ের ব্যাগ এবং সুমনের মা নিয়তী রানী দাশ ও বোন শিল্পী রানী দাশের স্বীকারোক্তি মতে মানি ব্যাগ ও নগদ টাকা উদ্ধারসহ উক্ত ৩ জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্য আসামিরা পলাতক থেকে যায়। মামলাটি গোয়োদা পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জসীট দাখিল করলে বাদী পক্ষ নারাজি দেন। নারাজির প্রেক্ষিতে আদালত জুডিশিয়াল তদন্তের জন্য নিদের্শ দেন। জুডিশিয়াল তদন্তে উপজেলার বড় ভাকৈর (পশ্চিম) ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গোপেশ চন্দ্র দাশের ছেলে গৌতম কুমার দাশ, তার সহোদর গৌরিশ কুমার দাশ, গনেশ দাশের পুত্র গোপাল দাশসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেন। বিজ্ঞ আদালত প্রতিবেদন গ্রহন করে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার গৌতম দাশ, গৌরিশ দাশ ও গোপাল দাশ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা জাহানের আদালতে হারি হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। এছাড়া হত্যাকান্ডের পর থেকে নিহত অনুজ রায়ের বন্ধু মামলার আসামী ইমন দাশ পলাতক রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর