,

লাখাইয়ে হামলায় আহত অ্যাডভোকেট মাসুদ করিম আখন্জী তাপসের অবস্থা অবনতি

স্টাফ রিপোর্টার: হামলায় আহত হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এড. মাসুদ করিম আখন্জী তাপস অবস্থা অবনতি হয়েছে। তার ডান পায়ে আঘাতের স্থানে ঘা হয়ে পচঁন ধরেছে। এ অবস্থায় চিকিৎসক জানিয়েছেন সুস্থ হতে হলে ১ মাস তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ দেবাশীষ দাশের কাছে এড. মাসুদ করিম আখন্জী তাপস পায়ের আঘাত স্থানটি দেখান। এ সময় ডাক্তার আঘাতের স্থানে ঘা হওয়ার দৃশ্য দেখে চমকে উঠেন। তারপর ডাঃ দেবাশীষ দাশ তার পায়ের আঘাতের স্থান পচঁন ধরা মাংসগুলো তুলে ফেলে। নতুন করে ঔষধ লাগিয়ে বেন্ডিস করেন দেন। মাসুদ করিম আখনজী জানান, বৃহস্পতিবার আমি ও সাংবাদিক এসএম সুরুজ আলীকে প্রাণনাশে হত্যা প্রচেষ্ঠকারীদের হামলার শিকার হওয়ার পর পর হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেই। পরবর্তীতে ঔষধ ব্যবহার করার পরও পায়ে ইনফেকশন হয়ে যায়। এতে আমি ভাল ভাবে হাটতেও পারছি না। পায়ে পচন্ড যন্ত্রনাও করছে। গতকাল আবারও চিকিৎসা নিয়েছি। ডাক্তার আমাকে মাস খানেক বিশ্রাম নিতে বলেছেন। এ ব্যাপারে ডাঃ দেবাশীষ দাশ জানান, এড. মাসুদ করিম আখন্জী তাপসের পায়ের আঘাতের স্থানে ঘা হয়ে পচঁন ধরে। ঘা’র স্থানে পচঁন ধরা মাংসগুলো তুলে ঔষধ লাগিয়ে দিয়েছে। আশাকরি মাস খানেক বিশ্রাম ও চিকিৎসা সেবা নিলে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। উল্লেখ্য ভাদিকারা গ্রামের বাসিন্দা হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এড. ছালেহ উদ্দিন আহমেদের বাড়ির জায়গা দখল করতে গিয়ে কয়েকটি গাছ কেটে ফেলে খায়রুল ইসলাম হিরো ওরফে আবুল খায়ের হিরো গং। এ খবর পাওয়ার পর এড. ছালেহ উদ্দিন আহমেদের ভাগ্নে এড. মাসুদ করিম আখনজী তাপস লাখাই থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাটা গাছগুলো জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। বিকেলে এড. মাসুদ করিম আখনজী তাপস তাদের নিকটাত্মীয় সাংবাদিক এসএম সুরুজ আলীকে নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে ভাদিকারা গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। মনতৈল গ্রাম অতিক্রম করার পর মাসুদ করিম আখনজী তাপসের মোটর সাইকেলকে পিকআপ ভ্যানগাড়ি দিয়ে কয়েকবার পরিকল্পিতভাবে ধাক্কা দেয় খায়রুল ইসলাম হিরো ও জুয়েল মিয়া তালুকদার। বিষয়টি বুঝতে পেরে মাসুদ করিম আখনজী ও সাংবাদিক সুরুজ আলী বুল্লা বাজারে পিকআপ ভ্যানটি আটক করে চালক জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় মুরব্বীয়ান এসে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেন। পরবর্তীতে মোটর সাইকেল নিয়ে মাসুদ করিম আখনজী ও সুরুজ আলী বুল্লা বাজারে ব্রীজ অতিক্রম করার পর জুয়েল মিয়া পিকআপ ভ্যানটি তাদের মোটর সাইকেলের উপর তুলে দেয়। এতে মোটর সাইকেল উল্টে নিচে পড়ে মাসুদ করিম আখনজী ও সুরুজ আলী গুরুতর আহত হন। এ সময় ব্রীজ সংলগ্ন পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা মাদক ব্যবসায়ী হিরো ও জুয়েলসহ তাদের লোকজন মাসুদ করিম আখনজী ও সুরুজ আলীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এসে হামলাকারীদের হাত থেকে এড. মাসুদ করিম আখনজী ও সাংবাদিক সুরুজ আলীকে রক্ষা করেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের রোষানলে পড়ে মাদক ব্যবসায়ী হিরো ও জুয়েল পালিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে লাখাই থানার এসআই সোহেল রানাসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জুয়েলের পিকআপ ভ্যান জব্দ করেন। এ সময় সাংবাদিক এসএম সুরুজ আলীর প্রায় ৫০ হাজার টাকা দামের ভিডিও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারী। এ ঘটনায় শনিবার সকাল ১০টায় এড. মাসুদ করিম আখজী তাপস বাদী হয়ে লাখাই থানায় মামলা করেন। মামলায় ভাদিকারা গ্রামের আব্দুল মান্নান প্রকাশ শক্কদর মিয়ার ছেলে খায়রুল ইসলাম হিরো ওরফে আবুল খায়ের হিরো (৩৫) ও একই গ্রামের অহিদ মিয়া ছেলে জুয়েল মিয়াকে (৩৫) আসামী করা হয়। এদিকে সাংবাদিক এসএম সুরুজ আলী ও এড. মাসুদ করিম আখনজী তাপসের উপর পরিকল্পিত হামলার ঘটনার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর