,

শ্রীমঙ্গলে অপহৃত ৪ বছরের শিশু নবীগঞ্জের পানিউমদা থেকে উদ্ধার অপহরণকারী মামাকে আটক করেছে পুলিশ

মুরাদ আহমদ (বিশেষ প্রতিনিধি) ॥ গতকাল দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউম্দা এলাকা থেকে ৪ বছরের শিশু পুত্র নাহিয়ানকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী মামাকে আটক করেছে পুলিশ। পানিউমদা গ্রামের আছাব উদ্দিনে বাড়ী থেকে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইজাজুর রহমান স্থানীয় জনতাকে সাথে নিয়ে নাহিয়ানকে উদ্ধার ও লিটন মিয়াকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। পরে র‌্যাব সহ আইন শৃঙ্খলার বাহিনীর উপস্থিতিতে অপহৃত নাহিয়ান কে তার মা লাকি বেগমের নিকট তুলে দেন ইউপি  চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, স্থানীয় ইউপি সদস্য আরজদ আলী, আসমাউল হোসেন, ফজল মিয়া, কালা মিয়া, আবুল কালাম সহ স্থানীয় জনতা। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা সদরের মুসলিমবাগ আবাসিক এলাকার নানার বাসা থেকে নাহিয়ান নামক ৪ বছরের শিশু কে অপহরন করে নিয়ে আসে তার আপন মামা লিটন মিয়া। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টায় মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম জানান- গত ২৩ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা সদরের মুসলীমবাগ আবাসিক এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী নুরুল আমীনের শিশুপুত্র নাহিয়ান চৌধুরী (৪) কে তার নানার বাড়ির বারান্দায় খেলারত অবস্থায় অপহরণ করে প্রথমে ৫ লাখ টাকা এবং পরে ১ লাখ টাকা কমিয়ে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে লিটন। জানা যায়, নাহিয়ানের মা লাকি বেগম গত ২৩ অক্টোবর বেলা পৌনে ১২টার দিকে এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ (ডায়রি নং- ১০৫১) ডায়রী করেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি সাথে সাথে বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করে দিক নির্দেশনা চান। পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মদের তাৎক্ষণিক দিক নির্দেশনায় সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে র‌্যাব শ্রীমঙ্গল-৯, শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আব্দুল জলিল, মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস ছালেক, ডিবির ওসি সালেহ উদ্দিন আহমদ একযোগে অভিযান চালান, অভিযানের এক পর্যায়ে গতকাল শুক্রবার ২৪ অক্টোবর দুপুরে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউম্দা এলাকা থেকে মৃতঃ সালেহ আহমদের পুত্র ও অপহৃতের আপন মামা লিটন মিয়াকে (৪০) আটক করে এবং নাহিয়ানকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। অপহরনকারী লিটন ৩ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়। নাহিয়ানের মা লাকি বেগম ২য় এবং তাদের ছোট আরেক ভাই রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটককৃত লিটন এর বিরুদ্বে মামলা দায়েরের প্রস্তুতির খবর পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, পানিউমদা গ্রামের আছাব উদ্দিনের বাড়ীতে লিটন মিয়া ওই শিশু কে নিয়ে আসলে আছাব উদ্দিনের সন্দেহ হলে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান সাথে সাথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা সহ গ্রাম বাসীদের নিয়ে ওই বাড়ী থেকে নাহিয়ান কে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।


     এই বিভাগের আরো খবর