,

লন্ডনে প্রবাসীদের সুখ দুঃখের কথা শুনলেন প্রধানমন্ত্রী

লন্ডনঃ জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশ্যে নিউইয়র্কে যাবার পথে লন্ডনে যাত্রা বিরতিকালে প্রবাসীদের সুখ দুঃখের কথা শুনলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২২শে সেপ্টেম্বর  সেন্ট্রেল লন্ডনের কারিজ হোটেলে বিকেল তিনটা থেকে  ব”টেন এবং ইউরোপে বসববাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী এবং দলীয় নেতাকর্মীরা হেটেলে প্রধান মন্ত্রীর সাথে দেখা করে নিজদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন, সাক্ষাৎ প্রার্থীদের কেউ এসেছিলেন তাকে শুভে”ছা জানাতে আর কেউবা এসেছিলেন নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে। প্রতিটি দলে ২১জন করে ভাগ করে দেয়া হয় সাক্ষাৎকারীদের। প্রধানমন্ত্রী রাত নয়টা পর্যন্ত ধৈর্য্যসহকারে  প্রবাসীদের সুখ দুঃখের কথা শুনেন প্রধানমন্ত্রী।
ইউরোপ থেকে আসা আবুল হোসেন নামের একজন নিজকে দলীয় কর্মী পরিচয় দিয়ে তার নিজ এলাকা উত্তরবঙ্গে পছন্দের একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবার অনুরোধ জানালে প্রধানমন্ত্রী বলেন  দল যাকে মনোনীত করবে তার পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে। যারা দলের জন্যে নিবেদিত এবং এলাকায় জনপ্রীয়তা আছে এমন ব্যাক্তিকেই দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে। সাবেক ছাত্র নেতা সায়েক আহমদ বলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগে বর্তমানে ১৬টি পোষ্ট খালি রয়েছে তাকে একটি পদ দিতে অনুরোধ জানালে প্রধানমন্ত্রী বলেন সব কিছু ঠিক করা হবে জাতীয় নির্বাচনের পর কাউন্সিলের মাধ্যমে, কমিটি গুলোকে পুনর্গঠিত করা হবে তখন। আশফাকুল ইসলাম সাব্বির নামে একজন নিজকে আওয়ামীলীগ কর্মি,সাবেক ছাত্রনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য পরিচয় দিয়ে তার নিজ এলাকা সিলেট-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী কয়েছ কর্তৃক তাঁকে হত্যার হুমকী ও দেশে থাকা তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দাবী জনিয়ে বলেন “ মাহমুদস সামাদ চৌধুরী কয়েছ তাঁকে প্রকাশ্যে খুন করার হুমকী দিয়েছেন এখন তিনি কি করবেন ’’ এমন কি তিনি হুমকীর ভিডিও ক্যাসেট আছে বলে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তখন প্রধানমন্ত্রী অভিযোগকারীকে বলেন তিনি পুলিশের কাছে গেলেনেনা কেন? অভিযোগকারী বলেন পুলিশ তো এমপির বিরুদ্ধে নালিশ নেয় না। তখন প্রধানমন্ত্রী তাকে আশ্ব¯’ করে বলেন আইন সবার জন্যে সমান। কেউ আইনের উর্ধে নয়।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের নেতা ব্যরিস্টার  আবুল কালাম চৌধুরী ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের জন্যে স্মার্ট কার্ড চালু করার দাবী জনিয়ে বলেন  প্রবাসী বাংলাদেশীদের আইডি কার্ড যা বর্তমানে বাংলাদেশে স্মার্ট কার্ড। তিনি প্রবাসীদের জন্য এর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি ব্যখ্যা করে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যাংক একাউন্ট, জমি কেনা বেচা সহ সকল ক্ষেত্রে এর ব্যবহার বাধ্যতা মূলক করায় প্রবাসীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট ভাবে  ভুক্তভুগী ও তার ব্যক্তিগত কয়েকজন ক্লায়েন্টের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে  প্রধানমন্ত্রীকে বলেন,ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের একারনে সীমাহীন কষ্ট করতে হচ্ছে।আর এটি করতে হলে সংসদে আইন পাশ করতে হবে। আমলা তান্ত্রিক জটিলতার কারনে তা হচ্চেনা|  এসময় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার জনাব নাজমুল কাওনাইন, আইডি কার্ড কিংবা স্মার্ট কার্ডের জন্য যারা ইতিমধ্যে সমস্যা কিংবা হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাদেরকে হাই কমিশনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস  প্রদান করেন। ভুক্তভুগীদের সমস্যা নিরসনে উনি সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি লিখারও আশ্বাস দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব সুলতান মাহমুদ শরীফ এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক ।


     এই বিভাগের আরো খবর