,

হবিগঞ্জ জেলার প্রতিটি গ্রামের আনাচে কানাচে কোন অপরাধ হতে দেয়া হবেনা – পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা

রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন :: চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে হবিগঞ্জের জেলার প্রতিটি উপজেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি শতভাগ নিয়ন্ত্রনে রাখতে দায়িত্ব পালনে পুলিশের পাশাপাশি গ্রাম ও কমিউনিটি পুলিশীংয়ের সদস্যদের আরও সজাগ শুধু নয় বরং কঠোর হতে হবে। গতকাল সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জের লাখাই থানা ক্যাম্পাসে সংশ্লিস্ট থানা কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এবং অফিসার ইনচার্জ এমরান হোসেনের সভাপতিত্বে ও ওসি (তদন্ত) অজয় দেবের সঞ্চালনায়  অনুষ্ঠিত গ্রাম পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশীং নেতৃবৃন্দের সাথে পৃথক মত বিনিময় সভায় নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। এ সময় মোহাম্মদ উল্ল্যা আরও বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর বেশী দুরে নয়। ফলে কোন ক্রমেই আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটাতে পারে এমন কাউকেই সুযোগ দেবে না পুলিশ। তিনি বলেন, শুধু শহর নয়, জেলার প্রতিটি গ্রামের আনাচে-কানাচে কোন অপরাধ হতে দেয়া হবেনা এমনকি অপরাধীও থাকতে পারবেনা। নিয়মিত মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামী ও অন্যান্য যে কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী-সেবনকারী, ইভটিজার সহ নানা অপরাধে সম্পৃক্ত দুষ্টু লোকদের অবিলম্বে আদালতে আত্মসমর্পণ অথবা গ্রেফতারে সহযোগিতা করতে হবে গ্রাম পুলিশদের। কমিউনিটি পুলিশীংয়ের নেতৃবৃন্দের এসব বিষয়ে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গ্রাম পুলিশসহ সংশ্লিস্ট কমিটির নেতৃবৃন্দ বা সদস্যরা কেউ আক্রান্ত বা হুমকির সম্মুখীন হলে পুলিশ তাদের পাশে থেকে যথাযথ জবাব দেবে। তিনি গতকাল লাখাইয়ের মুড়াকড়িতে দুইপক্ষের সংর্ঘষে হাকিম নামে একজনের মৃত্যুর বিষয়টিকে অত্যন্ত দুঃখজনক হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এসব ঘটনা সংঘটিত হবার আগেই পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাইলেও জনপ্রতিনিধিরা তা সালিশ বৈঠকে সমাধানের দায়িত্ব নেন। আর এ সময়ের মাঝেই এমন অনাকাড়িখত ঘটনা ঘটে যায়। যা কখনও কাম্য নয়। যে মায়ের বুক খালি হয়, তিনিই বুঝেন সন্তান হারানোর কস্ট কি। অথচ হামলাকারীরা বুঝে না তারা একজন মায়ের বুক খালি করে দিল। মুড়াকড়িতে সংঘটিত হাকিম হত্যার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আইনানুগভাবে সুষ্ঠু পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলেও নিশ্চয়তা প্রদান করেন। এছাড়া সংশ্লিস্ট গ্রামে যাতে আর কোনঅঘটন না ঘটে সে জন্য পুলিশকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়েও লাখাই এলাকার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি এতদিন ভালই ছিল। বড় ধরনের কোন অঘটন সাম্প্রতিক সময়ে ঘটেনি। কিন্তু মুড়াকড়িতে ওই দিন সংঘটিত একটি ঘটনায় বলা যাবেনা এখানকার পরিস্থিতি খারাপ। এই উপজেলার ভাল পরিস্থিতি আগামীতেও পুলিশের পাশাপাশি গ্রাম পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশীং সদস্যসহ সাধারণ মানুষকে ধরে রাখতে হবে। এদিকে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় অপরাধ প্রবনতা কমিয়ে আনতে অবদান রাখায় গ্রাম পুলিশদেরকে তিনি পুরস্কার স্বরূপ নগদ অর্থ তুলে দেন। এ সময় ওই দুটি সভায় যথাক্রমে পৃথক অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংশ্লিস্ট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. মুশফিউল আলম আজাদ, ওসি (তদন্ত) হবিগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন, বুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তার হোসেন বেনু, করাব ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই।


     এই বিভাগের আরো খবর