,

নবীগঞ্জে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫

স্টাফ রিপোর্টার :: নবীগঞ্জে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু-গ্রæপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের  ৫ জনলোক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ১ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে শহরজুড়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষ এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার সময় এ ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে নবীগঞ্জ সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ও নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর চৌধুরী সালমানের অনুসারী শাহান আহমেদের সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা যুবলীগের বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরীর অনুসারী সাফি আহমেদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে দুপুরের দিকে নবীগঞ্জ শহরের মিম্বর টাওরের সামনে ছাত্রলীগ নেতা সালমানের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃকর্মীরা অবস্থান নেয়। অপরদিকে রাহেল চৌধুরীর অনুসারীরা ফয়ছলের নেতৃত্বে অবস্থান নেয় সেন্ট্রাল প্লাজার সামনে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় সালমানের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী সৌরভের পিতা শফিক মিয়ার দোকান মৌমিতা সু স্টোরে হামলা চালানো হয়। পরে আবারও শহরের খালিক মঞ্জিলের সামনে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মী আজাহার আহমেদ (২০), সাজু আহমেদ (১৯), শিহান আহমেদ (১৮), ওয়াছির মিয়া (৪০) গুরুতর আহত হন। আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুত্বর অবস্থায় রাহেল চৌধুরীর বাসার কেয়ারটেকার ওয়াছির মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর চৌধুরী সালমান বলেন, আমি ঘটনার খবর পেয়ে সমাধানের স্বার্থে কলেজে ছুটে যাই। সেখানে কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দসহকারে বসে পরে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে আমি ফিরে আসি। এর কিছুক্ষণ পরপরই সেন্ট্রাল প্লাজার সামনে আমার কর্মী সাজুকে মারধর ও হাসপাতাল সড়কে আমার অপর আরেক কর্মী সৌরভের বাবার জুতার দোকানে ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়ছলের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দিলে ফয়ছল ও তার লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়ছল তালুকদার বলেন, ছাত্রদল কর্মীর পক্ষ নিয়ে সালমানের নেতৃত্বে আমার নেতাকর্মীর উপর রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসহকারে হামলা করে। এ সময় রাহেল চৌধুরী’র বাসার কেয়ারটেকার ওয়াছির মিয়া গুরুতর আহত হয়। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ছাত্রলীগের দু’গ্রæপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় শহরজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ খবর লেখাকালীন জানা যায়, দিনের ঘটনার জের ধরে রাহেল চৌধুরীর গ্রæপের নেতাকর্মীরা অনুমান রাত ১০ টার দিকে তিমিরপুর গ্রামের সংখ্যালগো পরিবারের মৃত সুবাশ দাশের পুত্র ছাত্রলীগকর্মী শাওন দাশের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম দস্তগীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে কে বা করা হামলাটি করেছে এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন বলে জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর