,

ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে জনতার মাঝে ফিরে এলেন আতাউর রহমান সেলিম

নিজস্ব প্রতিনিধি :: ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির রাজপথে থাকা সৈনিক। জনগণের সাথে থাকতেই স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করেন তিনি। কিন্তু প্রতি পদে পদে থাকে ডিঙ্গাতে হয় পাহাড়সম প্রতিপক্ষকে। জনগণের কাছ থেকে দূরে সড়িয়ে রাখতে তাকে বারবার প্রেরণ করা হয় কারাগারে। কিন্তু ফিনিক্স পাখির মত বারবার তিনি ফিরে আসেন জনতার মাঝে। যেখানে লুকিয়ে রয়েছে তার ভালবাসা। সেই নেতা আতাউর রহমান সেলিম আবারো কারাগারের ১৩ শিক ছেড়ে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে ফিরে এসেছেন জনতার মাঝে। মাত্র ৯ দিন কারাভোগের পর হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য এবং বিগত পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম গতকাল দুপুরে হবিগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্ত হন। তার মুক্তি পাওয়ার খবর জানতে পেরে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই উপস্থিত হতে থাকেন কারাগার ফটকে। উপজেলা, ইউনিয়ন, এমনকি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরাও চলে আসেন প্রিয় নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। শতশত মোটরসাইকেল ও গাড়ি নিয়ে অপেক্ষায় থাকা নেতাকর্মীদের বহর নিয়ে হবিগঞ্জ শহরে রাজকীয়ভাবে আসেন আতাউর রহমান সেলিম। তাকে বরণ করতে জেল ফটকে শুধু যুবলীগ নয়, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আতাউর রহমান সেলিম যখন কারাগার থেকে বেড়িয়ে একের পর এক নেতাকর্মীর সাথে আলিঙ্গণ করছিলেন এবং ফুলের তোড়া এবং মালায় সিক্ত হচ্ছিলেন, তখন তিনি আবেগে আপ্লুত হন। এ সময় তিনি বলেন, দলের নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নে বারবার রাজপথে থেকে কাজ করার পর যখন, কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্টে চলে যেতে হয়, তখন বেদনাহত হই। কিন্তু যখন দেখি, জনগণের ভালবাসা, তখন সারাজীবন রাজনীতির মাধ্যমে সেবা করে যাওয়ার নতুন প্রেরণা পাই। হবিগঞ্জবাসী অবগত আছেন, আমি কেন কারাগারে গিয়েছিলাম। সেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত লগি-বৈঠার আন্দোলনে  রাজপথে থাকায় আমাকে কারাবরণ করতে হয়েছে। এর আগেও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে দমিয়ে রাখার জন্য কারাগারে প্রেরণ করেছে। ষড়যন্ত্র করে আমাকে দেয়া শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ভালবাসার নৌকাকে পরাজিত করা হয়েছে। আল্লাহর হুকুমে আমি যখন মুক্ত হয়েছি, ইনশাল্লাহ আগামী নির্বাচনে হবিগঞ্জের ৪টি আসনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বো। এ সময় তিনি তার এই দু:সময়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবন্দ, হবিগঞ্জ বারের বিজ্ঞ আইনজীবী এবং জেলার সাংবাদিকসহ যারাই পাশে ছিলেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে প্রতিদিন তাকে দেখার জন্য কারাগারে শতশত নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে মনোবল দেয়ায়, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আতাউর রহমান সেলিমকে কারাগারে বরণকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাহেদ গাজী, সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এড. সুলতান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় মহিলা নেত্রী ডাঃ নাজরা, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সজল রায়, শওকত আকবর সোহেল, এসএম আব্দুর রউফ মাসুক, গৌতম কুমার রায়, মাহবুবুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রায় চৌধুরী, মোতাহের হোসেন রিজু, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ উম্মেদ আলী শামীম, শফিকুজ্জামান হিরাজ, ফেরদৌস আহমেদ, তাজ উদ্দিন আহমেদ তাজ, রেখাছ মিয়া, শাহ গুল আহমেদ কাজল, ফজল উদ্দিন তালুকদার, সৈয়দ মিলাদ, কেএম আনোয়ার, মোঃ ফারুক পাঠান, মহিউদ্দিন কামাল, আলাউর রহমান শাহেদ, এনামুল হক মামুন, আতাউর রহমান মাসুক, বাবলু রায়, ডাঃ ইসতিয়াক রাজ চৌধুরী, একরামুল আলম লেবু, মোঃ আব্দুল মতলিব, ফয়জুর রহমান রবিন, শাহেদ গাজী, শাহ মোঃ আরজু, হাজী সামছু মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদুজ্জামান বাবুল, মিজানুর রহমান শামীম, শেখ মোঃ আনিস, কাউন্সিলর আলমগীর, জাহির মিয়া, এমএ হাকীম, তারা মিয়া, মোঃ জামাল মিয়া, শাহ আলম সিদ্দিক, শাহীন তালুকদার, রুহুল আমীন সিজিল, জিল্লুল কাদির লস্কর লিমন, শাহরিয়া সুমন, এড. মহিউদ্দিন সোহেল, শাহ আলম, বদরুল আলম, ফরিদ হাসান, রুহুল আমীন, আজিজ আহমেদ, সাইদুর রহমান, সোহেল রানা তালুকদার, শাহ দরাজ, সফিউল্লাহ, মঈন উদ্দিন চৌধুরী সুমন, নিজাম উদ্দিন শরীফ জনি, জাকির হোসেন, মমিনুর রহমান সজিব, আলমগীর হোসেন, ইকরামুল মজিদ চৌধুরী শাকীল, আবুল কাশেম, বিদ্যুৎ মজুমদার, লোকমান আহমেদ খান, টিএম আফজাল হোসেন, বেলাল আহমেদ, আমীর হোসেন, বিপুল রায়, আলম মিয়া, ফারুক আহমেদ, সবুজ আহমেদ, ধ্রæব জ্যোতি দাশ টিটু, দেওয়ান আলমগীর, জাহির আহমেদ, সেলিম আহমেদ, আব্দুর রকিব রনি, ইমতিয়াজ জাহান শাওন, শাহ বাহার প্রমুখ।


     এই বিভাগের আরো খবর