,

নবীগঞ্জের আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে

হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

সংবাদদাতা :: হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন হাফেজ মোঃ আইয়ুব আলী নামে এক ব্যক্তি। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের লোগাঁও গ্রামের হাজী আব্দুল মন্নানের পুত্র হাফিজ মোঃ আইয়ুব আলী বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ গজনাইপুর ইউনিয়ন শাখার ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ফিসারী ব্যবসা করিয়া জীবিকা নির্বাহ করছি’।
তিনি বলেন, ‘একই গ্রামের মৃত সাজিদুর রহমানের পুত্র শাহ নেওয়াজ মিয়া ও তাহার পুত্র নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়েজ আমীন রাসেল এলাকায় ঠক, প্রতারক ও অত্যাচারী লোক হিসেবে পরিচিত। তাহারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ থানা ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। ১৯৭১ সালে তাদের পরিবারের সদস্যরা রাজাকার হিসেবে পরিচিত ছিল। পান্তরে আমার পিতা হাজী আব্দুল মন্নান মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করার কারণে আমার ফুফু কুমকুম বিবিকে পাক বাহিনীর হাতে তুলে দেয় রাজাকাররা। যে কারণে আমার ফুফু বর্তমানে যুদ্ধাপরাধী মামলার স্বাক্ষী হয়েছেন’।
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে তারা আমার নিকট ২০ লক্ষ টাকায় ৩ কেদার জমি বিক্রি করার প্রস্তাব দেয়। আমি তাদের প্রস্তাবে সরল বিশ্বাসে রাজি হয়ে ১০ লক্ষ টাকা অগ্রিম প্রদান করি এবং জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার পর অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করার কথা বলি। কিন্তু পরবর্তীতে তারা বিষয়টি অস্বীকার করে’।
লিখিত বক্তব্যে হাফেজ আইয়ুব আলী আরও বলেন, ‘আমি বিষয়টি এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জানালে রাসেল গংরা আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। শুধু তাই নয়, তারা আমার নামে বিভিন্ন থানা ও আদালতে ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে একাধিক মামলা দায়ের করে। যা আদালতে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। গত ১ মাস পুর্বে তারা আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাদা দাবি করে। চাদা না দেয়ায় বর্তমানে তারা আমার বাড়িÑঘর গ্রাস করার জন্য আমার বৃদ্ধ বাবাসহ পরিবারের লোকজনদের বাড়ি থেকে তাড়াইয়া দেয়ার পাঁতায়তারা করতেছে। আমি এ বিষয়ে লিখিত ভাবে জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে বিষয়টি অবগত করেছি।  তারা আমাকে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ভাবে প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। যার ফোন রেকর্ড আমার কাছে আছে। এমতাবস্থায় আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে এবং আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। ইতিপুর্বে আমি এ বিষয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি। কিন্তু গত ৪ নভেম্বর মামলায় হাজিরার দিনে আসামীদের ভয়ে আমি আদালতে হাজিরা দিতে পারেনি। এ বিষয়ে আমি প্রশাসন ও সচেতনমহলসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করি’।


     এই বিভাগের আরো খবর