,

হবিগঞ্জে একে হসপিটালে ডাক্তারের ভূল চিকিৎসায় এক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

জুয়েল চৌধুরী :: হবিগঞ্জ শহরের ফায়ার সার্ভিস রোড নজির সুপার মার্কেট একে হসপিটালে ডাক্তারের ভূল চিকিৎসায় বুশরা আহমেদ নামের চার মাসের এক শিশু মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই হাসপাতালে উত্তেজিত জনতা ভাংচুর করেছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অবস্থার বেগতিক দেখে ডাক্তার মিনহাজ আরেফিন সটকে পড়েন বলেও জানা গেছে। শিশু বুশরার পিতা জমির আলী জানান, সম্প্রতি তিনি তার শিশু ও স্ত্রীকে নিয়ে শায়েস্তাগনর শশুর বাড়িতে আসেন। তার শিশু শ্বাসজনিত কষ্ট থাকায় এক দালালের মাধ্যমে ৮শ টাকা ভিজিট দিয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ডাক্তার মিনহাজ আরেফিনকে দেখান। তিনি ঔষধ লিখে দেয়ার পর বাসায় নিয়ে ঔষধ সেবন করায়। এক পর্যায়ে তার শিশু অভিরাম বমি করতে থাকে। বিকাল ৩টার দিকে পুনরায় ওই শিশুকে ওই হাসপাতালে নিয়ে আসেন এক পর্যায়ে তার দালালরা শিশুকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে দেয়নি। শিশুর অবস্থা আরও অবনতি হলে দালালরা ওই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। তখন অভিযুক্ত ডাক্তার বলেন, সমস্যা নেই। ঔষধের রিএকশন হয়েছে। তাড়াতাড়ি রোগীকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ডাক্তার মেহেদী হাসান ওই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত শিশুর স্বজনরা একে হাসপিটালে গিয়ে ভিড় জমান এবং ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করলে ডাক্তার  ও তার দালাররা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং উভয়পক্ষ বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। তখন উত্তেজিত জনতা চেয়ার টেবিল তচনছ করে ফেলে। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত ডাক্তার সটকে পড়ে। খবর পেয়ে পৌর মেয়র আলহাজ্ব জি.কে গউছ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি এ সমস্ত বিষয় দেখে শিশুর পরিবারকে সান্তনা দেন এবং বিষয়টি দেখে দিবেন বলে জানান। ওই হাসপাতালে কাগজপত্র দেখে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। স্থানীয়র জানান, হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তাগনর নজির সুপার মার্কেট এলাকায় বেশ কয়েকটি প্রাইভেট হাসপিটার গড়ে উঠে। এদের নেই কোন বৈধ কাগজপত্র। প্রায়ই এসব ডাক্তারের অপচিকিৎসায় শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ মারা যায়। এছাড়াও তাদের নিয়োজিত দালাল রয়েছে। দালালদের মাধ্যেমে সহজ সরল রোগীরা এসে তাদের খপ্পরে পড়ে। আর এই হাসপাতালের ডাক্তাররা বড় বড় ভুয়া ডিগ্রী ব্যববার করে প্রেসক্রিপশন ও সাইনবোর্ডে লিখা হয়। ডাক্তার মিনহাজ আরেফিনের সাইনবোর্ডে লিখা ডায়েবেটিস, মেডিসিন, হৃদরোগ ও শিশুরোগসহ বিভিন্ন রোগ বিশেষজ্ঞা। এছাড়াও তিনি দাবি করেন, জাতীয় হৃদরোগ হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক। শেষে লাশ নিয়ে শিশুর পরিবার বানিয়াচং আদর্শ বাজার নিজ বাড়িতে চলে যায়। এ ব্যাপারে শিশুর পিতা জমির আলী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিবে বলেও জানা গেছে। এ ব্যাপারে ডাক্তার মিনহাজ আরেফিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে হাসপাতালে গিয়ে পাওয়া যায়নি এমনকি মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।


     এই বিভাগের আরো খবর