,

হবিগঞ্জের আউশপাড়ায় যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন উস্কানীমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে আলী আমজদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১০ গ্রামের প্রতিবাদ সভা

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আউশপাড়া গ্রামে এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ ও  আলী আমজদ চেয়ারম্যানের উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে আউশপাড়া গ্রামবাসির উদ্দোগে ১০ গ্রামবাসির এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে আউশপাড়া তরফদার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পইল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাহেব আলীর সভাপতিত্বে ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন রাসেল ও সাবেক মেম্বার নুরুল  ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্টিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন আবুল হোসেন, আব্দুর রফিক, আব্দুল কাইয়ূম, জিতু মিয়া, সাইদুর রহমান, দুদু শাহ, শাহ আমিনুল হক কামাল, নানু মিয়া, দরবেশ আলী, আবুল কালাম, পরশ আলী, দুলাল মিয়া, সাহেব আলী, লকুজ মেম্বার, আব্দুল হান্নান, মন্নর আলী, কালা মিয়া, আকবর আলী, আরজত আলী, তোফাজ্জল ইসলাম, আহাম্মদ আলী, সমুজ আলী, ইদ্রিস আলী, আব্দুল জলিল, আব্দুর রউফ, দুদু মেম্বার, আব্দুস সালাম প্রমুখ। প্রতিবাদ সভায় চানপুর, দেনেশ্বর, আছিপুর, নুরপুর, আটঘরিয়া, পাইকপাড়া, শিয়ালদারিয়া, আব্দা বকাইয়ের কয়েক হাজার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, সম্প্রতি শরীফপুর গ্রামের আমজদ আলী চেয়ারম্যানের আত্মীয় খায়রুল হাসান মকবুল, মইনুল হাসান দুলাল আউশপাড়ায় বন্দুক নিয়ে পাখি শিকার করতে আসে। এসময় আউশপাড়া গ্রামের রাহেল মিয়া নামে এক যুবক বাধাঁ প্রদান করলে খাইরুল ও দুলাল তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারপিট করে। এক পর্যায়ে তাকে গুলি করতে চায় বন্দুক দিয়ে। এসময় গ্রামবাসি বন্দুকসহ ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করে ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আলীর উপস্থিতিতে আমজদ আলী চেয়ারম্যান এসে বিষয়টি বিচারে শেষ করে দিবে বলে ছাড়িয়ে নেন। কিছুদিন পর রাহেলকে কটিয়াদি বাজারে পেয়ে আবারো মারপিট করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তাকে জুতা পেটা করে এবং নাকে খত দিয়ে ছেড়ে দেয খাইরুল ও দুলালসহ তাদের লোকজন। বিষয়টি আউশপাড়া গ্রামবাসি জানতে পেরে আমজদ আলীকে অবগত করলে তিনি আউশপাড়া গ্রামবাসির বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। এতে গ্রামবাসি তার বিরুদ্ধে ফুসেঁ উঠে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এতে ১০ গ্রামবাসি একাত্মতা ঘোষণা করেন। বক্তারা আরো বলেন, মামলা করার পরও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছে না। ৭ দিনের ভিতরে যদি আসামীদেরকে গ্রেফতার করা না হয়, তবে ১০ গ্রামবাসি মিলে থানা ঘেরাওসহ কঠিন কর্মসূচীর হুমকি দেয়। তারা আরো বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন। সভাপতির বক্তব্যে পইল ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আলী বলেন, আগামী ১ সপ্তাহের ভিতরে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হয়, তা হলে গ্রামবাসিকে নিয়ে তিনি কঠোর কর্মসূচী দিবেন।


     এই বিভাগের আরো খবর