,

হবিগঞ্জ সদরের বিভিন্ন স্থানে বিজয় দিবসের আলোচনা

স্টাফ রিপোর্টার :: বিজয়ের মাস আসলেই সারা দেশের মানুষ মেতে উঠে অন্যরকম এক আনন্দে। যেখানেই বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান হয় সেখানেই ছুটে যান সবাই। এই বিজয়ের মাসের সাথে অঙ্গা-অঙ্গিভাবে জড়িত, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, আওয়ামীলীগ আর নৌকা প্রতীক। তাই বিজয় দিবসের প্রথম দিনে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমপি আবু জাহিরকে দেখতে পেয়ে সবাই উল্লাসিত হন। তারা বিজয়ের মাসে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। গতকাল মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রিচি ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন, আষেঢ়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং লুকড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আলোচনায় সভায় এই প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করেন অংশগ্রহণকারীরা। গতকাল বিকেলে রিচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে রিচি ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এর আয়োজনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দুই সহশ্রাধিক নারীরা অংশ নেন। একইদিন আষেঢ়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং লুকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগেও বিজয় দিবস আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পৃথক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি। তিনি মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার পরে সরকার। আওয়ামী লীগের মাধ্যমে শুধু মহান স্বাধীনতা অর্জনই নয়। বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আওয়ামী লীগ। ভবিষ্যতেও এই অগ্রগতির স্বার্থে স্বাধীনতার পরে শক্তির বিকল্প নেই। আওয়ামীলীগ মতায় ছিল বলেই আজ হবিগঞ্জে এত উন্নয়ন করতে পেরেছি। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার আহবান জানান তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরে মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রীরা বলেন, ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে তৎকালীন অবহেলিত হবিগঞ্জের হাল ধরতে আপনারা এডভোকেট মোঃ আবু জাহিরকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছিলেন। তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেননি এতটুকু। হবিগঞ্জ-লাখাই এলাকার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে চলেছেন নিরন্তর। শিক্ষা স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, ক্রীড়া ও সংস্ক”তিসহ সকল ক্ষেত্রে আপনাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছেন তিনি। বিগত ১০ বছরে দু ’উপজেলায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার সড়ক, হবিগঞ্জ-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জে আজ থেকে প্রায় দেড় বছর পূর্বেই ঘরে ঘরে শতভাগ বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া, হবিগঞ্জে ১০তলা বিশিষ্ট চীফ জুডিসিয়াল ভবন নির্মাণ, হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ স্থাপন, আধুনিক সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং ৮তলা ভবন নির্মাণ, লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ ও বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু, বৃন্দাবন সরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স চালু, ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক দুটি করে হোস্টেল নির্মাণ এবং একাধিক একাডেমিক ভবন ও বিজ্ঞান ভবন নির্মাণ, হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ডাবল শিফ্ট চালু, শায়েস্তÍাগঞ্জে উপজেলা প্রতিষ্ঠা, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়ন করেছেন তিনি। লাখাইয়ে ১টি কলেজ ও ১টি হাইস্কুলকে সরকারিকরণ করা হয়েছে। হবিগঞ্জ-লাখাইয়ের প্রায় সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করেছেন। হবিগঞ্জ ও লাখাইয়ে নতুন ১০টি কলেজ প্রতিষ্ঠা, সরকারি ও বেসরকারি নতুন ১২টি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া হবিগঞ্জ ও লাখাইয়ে প্রায় সবকটি সড়কের পাকাকরণ কাজও সমাপ্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে হবিগঞ্জ-লাখাই-নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক মহাসড়কে বলভদ্র নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে এবং এই সড়কের উন্নয়নে ১৫০ কোটি টাকার প্রকল্প দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই সড়কের কাজ শেষ হলে শুধু হবিগঞ্জবাসী নয়, বৃহত্তর সিলেটের মানুষ অল্প সময়ে এই সড়ক ব্যবহার করে ঢাকা-সিলেট যাতায়াত করতে পারবেন। এতে হবিগঞ্জ ও লাখাই এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স এর নতুন ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। শায়েস্তাগঞ্জে থানা ভবন, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ এবং খাদ্য গোদাম নির্মাণ কাজও এগিয়ে চলেছে।
এই সকল উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনেও এমপি আবু জাহিরকে বিজয়ী করতে উপস্থিত নারী-পুরুষের প্রতি আহবান জানান মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রীরা। এ সময় ২ সহশাধিক নারী হাত তুলে তাকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানান এবং এমপি আবু জাহিরকে আবারো নির্বাচিত করতে একাত্মতা পোষন করেন। এছাড়াও তারা সকলেই নৌকার পে কাজ করার প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করেন। সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট পারভীন আক্তারের সভাপতিত্বে ও জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রেবা চৌধুরীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলেয়া জাহির, শাহানারা চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমত আরা জলি, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস আরা বেগম, জেলা পরিষদের সদস্য ফাতেমাতুজ জোহরা রিনা, রওশানারা ভূইয়া লাকী, সালেহা চৌধুরী, যুব মহিলা লীগের সভাপতি মেহেরুন নেছা মজু, রিচি ছাত্রী কল্যাণ সংঘের সভাপতি জাহানারা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক তামান্না মাশরাফি তমা, তুহিনা আক্তার, আনোয়ারা আক্তার, সামছুন নাহার, জাহানারা বেগম, উম্মে হানি শেফা, আখি আক্তার প্রমুখ। আলোচনা সভায় মহিলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্থানের সদস্যরা অংশ নেন।


     এই বিভাগের আরো খবর