,

মহাজোটের প্রার্থী মিলাদ গাজী ঐক্যফ্রন্টের রেজা কিবরিয়া

নির্বাচন কমিশনে হবিগঞ্জ-১ আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা

মতিউর রহমান মুন্না :: নানা জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চ‚ড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা নির্বাচন কমিশনে প্রদান করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ লড়বে ২৫৮টি আসনে। এ হিসেবে ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা ভোটের জন্য পেয়েছে ৪২ টি আসন। তবে আওয়ামী লীগ আর ১৪ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোর প্রার্থীদের মিলিয়ে মোট ২৭২টি আসনে নৌকা মার্কায় ভোট হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন রোববার চূড়ান্ত প্রার্থী ও জোটের প্রতীক ব্যবহারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে এমনটিই জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে মহাজোট প্রার্থী হিসেবে শাহনেয়াজ মিলাদ গাজীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। অপর দিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দলীয় জোট ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-
বিএনপি জোটবদ্ধ দল সমূহের আসন ভিত্তিক ২৯৮ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা নির্বাচন কমিশনে প্রদান করেছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে নিজেদের চ‚ড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ড. রেজা কিবরিয়ার নাম প্রকাশ করেছে।
এদিকে, আলোচিত এই আসনে গণফোরামের প্রার্থী রেজা কিবরিয়াকে ধানের শীষ প্রতীকের চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হলেও তার আসনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি বিএনপির প্রার্থী শেখ সুজাত মিয়া। রাত ৯ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি শেখ সুজাত। সোমবার বেলা ১১টার মধ্যে রেজা কিবরিয়ার চূড়ান্ত মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, সাবেক এমপি বিএনপি প্রার্থী শেখ সুজাত মিয়ার সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তিনি আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ধানের শীষকে জয়ী করতে যা যা করা প্রয়োজন সবাইকে নিয়ে তা করবেন বলে আমাকে আশ্বস্থ করেছেন সুজাত মিয়া। এ জন্য শেখ সুজাত মিয়াকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
নৌকা প্রতীকে চ‚ড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনিত করায় প্রধানমন্ত্রী ও মনোনয়ন বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শাহনেয়াজ মিলাদ গাজী। তিনি বলেন, আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে ও সকলের দোয়ায় তিনি নৌকার চ‚ড়ান্ত প্রার্থী হয়েছেন। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
এদিকে, ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী ড. রেজা কিবরিয়ার ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দপত্র (চিঠি) গ্রহণ করেননি রিটানিং অফিসার। রবিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন হবিগঞ্জের ৪টি আসনের বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের চিঠি রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিল করেন।
ড. রেজা কিবরিয়া তার প্রতিনিধি’র মাধ্যমে বিকালে ৫টার কয়েক মিনিট আগে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মাহদুল কবীর মুরাদের নিকট প্রেরণ করেন। এ সময় রিটার্নিং অফিসার ড. রেজা কিবরিয়ার প্রতীক বরাদ্দের চিঠির মূল কপি না হওয়ায় ও চিঠিতে রেজা কিবরিয়ার স্বাক্ষর না থাকার কারণে চিঠিটি গ্রহণ করেননি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ জানান, প্রার্থীদেরকে মহাসচিবের স্বাক্ষরিত দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেয়ায় চিঠির মূল কপি রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিল করতে হয় এবং চিঠির মধ্যে প্রার্থী সত্যায়িত স্বাক্ষর থাকতে হবে। কিন্তু ড. রেজা কিবরিয়ার প্রতীক বরাদ্দপত্রের চিঠির মূল কপি দাখিল করেননি। তিনি ফটোকপি দাখিল করেছেন এবং চিঠিতে রেজা কিবরিয়া স্বাক্ষরও ছিল না। এ কারণে আমরা তার প্রতীক বরাদ্দের চিঠিটি গ্রহণ করেনি।
এ ব্যাপারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. রেজা কিবরিয়া জানান, আমি ঢাকায় থাকায় প্রতীক বরাদ্দের চিঠি রবিবার ই-মেইলে মাধ্যমে আমার প্রতিনিধি’র মাধ্যমে রিটানিং কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু রিটার্নি অফিসার তা গ্রহণ করেননি। তবে আজ প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল।
সোমবার সকাল ১০টায় আমি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে হাজির হয়ে প্রতীক বরাদ্দপত্র দাখিল করবো। আশা করি ধানের শীষের প্রতীক পাবো।
এদিকে ড. রেজা কিবরিয়ার প্রতীক বরাদ্দের চিঠি রিটার্নিং অফিসার না গ্রহণ করার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে জেলা জুড়ে আলোচনা শুরু হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর