,

ইনাতগঞ্জে নিখোঁজের ৩ মাস পর গৃহবধূর কংকাল উদ্ধার । কথিত প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদ

রাকিল হোসেন :: নবীগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে নিখোঁজের ৩ মাস পর হাওরের ধান ক্ষেত থেকে সুজনা বেগম(২৯) নামের এক গৃহবধূর কংকাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কইখাই গ্রামের ইলিমপুর হাওর থেকে কংকালটি উদ্ধার করে ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ। সুজনা বেগম ওই ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের তোলাফর উল্লার মেয়ে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে সুজনা বেগমের কথিত প্রেমিক সাহিন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

জানা যায়, তোলাফর উল্লার মেয়ে সুজনা বেগম চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর সন্ধা ৫টা ৪০মিনিটে তার খালার বাড়ী সেয়দপুর দাওয়াতে যাবার পথে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে তোলাফর উল্লা ওই দিনই নবীগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন। এ দিকে নিখোঁজের ৩ মাস পর গতকাল শনিবার বিকেলে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কইখাই গ্রামের ইলিমপুর হাওরে স্থানীয়লোকজন কংকালের কিছু হাড় ও কাপড় দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার নবীগঞ্জ বাহুবল সার্কেল পারভেজ আলম চৌধুরী, ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক সামছদ্ধিন খাঁন একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাথার খুলি, হাড়, চুল, ওড়না ও সেলোয়ার কামিজসহ পরনের কাপড় উদ্ধার করেন। এ সময় সুজনার পিতা তোলাফর উল্লাহসহ পরিবারের লোকজন ওড়না ও সেলোয়ার কামিজ দেখে হাড়গুলো সুজনার বলে সনাক্ত করেন। সন্ধ্যায় সহকারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহ কইখাই গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন এর পুত্র সাহিন মিয়াকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করেছেন।

নিহত সুজনার ভাই সাহিনুর রহমান জানান, তার বোন সুজনার সাথে কইখাই গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন এর পুত্র সাহিন মিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। পরবর্তীতে সুজনাকে মোস্তফাপুর গ্রামের জয় হোসেনের সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের কিছু দিন পর জয় হোসেন সৌদি আরব চলে যান। তারপর আর দেশে ফিরেনি। নিহত সুজনার ৪ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। এদিকে সুজনার বিয়ের পর প্রেমিক সাহিনও বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের পরও দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। এ নিয়ে কয়েকবার গ্রামে শালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্ত তাদেরকে ফিরানো যায়নি। এ মতাবস্থায় সুজনা নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে থানার সহকারী পুলিশ সুপার নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেল পারভেজ আলম চৌধুরী জানান, সুজনা নিখোঁজের ঘটনায় থানায় একটি জিডি রয়েছে। এ ঘটনায় জিঞ্জাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।


     এই বিভাগের আরো খবর