,

খেলার মাঠেও ইনসাফ চাই

সময় ডেস্ক ॥ জয়-পরাজয় সব খেলাতেই আছে। আজ অন্যায়ের জয়-জয়কার। আদালতপাড়া থেকে মুদির দোকান, জাতীয় সংসদ থেকে খেলার মাঠ। সবখানেই প্রয়োজন ন্যায়-ইনসাফের চর্চা। বিচারক আর খেলার মাঠের আম্পায়ার দুজনের বিচারেই নীতি, আদর্শ ও ইনসাফ থাকা চাই। নীতি নৈতিকতা ও আদর্শ বিসর্জন দিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট অন্যায় সিদ্ধান্ত মোটেও ইসলাম সমর্থন করেনা। ইনসাফের প্রতি ইসলাম যথেষ্ট গুরুত্ব দিলেও পৃথিবীর কোনোধর্মই বেইনসাফ, বেআইনি ও অন্যায় সমর্থন করেনা। ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ সা. ন্যায়প্রতিষ্ঠা ও ইনসাফভিত্তিক সমাজগড়ার শ্রেষ্ঠতম উপমা। একবার আরবের মাখজুম গোত্রের একজন নারীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হয়। উসামা ইবনে যায়েদ দ-বিধি না দেওয়ার সুপারিশ করেন। নবীজী সা. দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বললেন, হে মানুষেরা! আল্লাহর কসম! মুহাম্মদের কন্যা ফাতিমাও যদি চুরি করতো তবে আমি তার হাত কেটে দিতাম। আমাদের জীবনে ন্যায়-ইনসাফের এই উপমা আরও দৃঢ় করতে শিখিয়েছে কোরআন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে- হে নবী আপনি বলে দিন, আল্লাহ যে কিতাব আমার প্রতি অবতীর্ণ করেছেন আমি তাতে বিশ্বাস করি। আর আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তোমাদের মধ্যে সুবিচার কায়েম করার জন্য। আল্লাহ আমাদের ও তোমাদের প্রতিপালক। সুরা আশশুআরা : ১৫ কোরআন আরও বলছে, যদি তোমরা পেঁচানো কথা বলো অথবা সত্যকে পাশ কেটে চলো, তাহলে জেনে রাখো তোমরা যা কিছু করছো আল্লাহ তার খবর রাখেন। সুরা নিসা : ১৩৫ কোরআন আরও বলছে, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন- হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশে সত্য সাক্ষ্যদানে তোমরা অবিচল থাকবে। নির্দিষ্ট কোন দলের বা জাতির বিদ্বেষ যেন তাদের প্রতি অবিচার করতে প্ররোচিত না করে তোমাদের। তোমরা নির্বিশেষে সকলের প্রতি সুবিচার কর, কারণএটা তাকওয়ার অধিক নিকটবর্তী। জেনে রেখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজের খবর রাখেন। সুরা মায়েদা, আয়াত-৮ কানজুল উম্মালগ্রন্থে আছে, হজরত ওমর রা. ইনসাফ কায়েম করতে গিয়ে জনৈক ব্যক্তিকে বাদির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একশত চাবুক মেরেছিলেন। পুনশ্চ: আজ বিশ্ব খেলার আসরে ক্রিকেট মোড়লদের অন্যায় ও বে ইনসাফির মহড়া দেখলো পৃথিবী। আগামী প্রজন্ম কি শিখবে এই অন্যায় উৎসব থেকে। তাই খেলার মাঠেও ইনসাফের পরিপূর্ণ চর্চা থাকুক।


     এই বিভাগের আরো খবর