,

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের ফলে বিশ্বের দরবারে আজ বাংলাদেশ -এড. আলমগীর চৌধুরী

শাহ্ সুলতান আহমেদ/সুমন আলী খান :: নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে গতকাল রবিবার জাতীয় বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল সুর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সুচনা ও স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন, সরকারী-আধাসরকারী কবরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, নবীগঞ্জ জে.কে সরকারী স্কুল মাঠে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন, ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধণা, সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বজনীন ব্যবহার এবং মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সিম্পোজিয়াম, হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নত খাবার পরিবেশন, মসজিদ-মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রজেক্টরের মাধ্যমে উন্মুক্তস্থানে চলচিত্র প্রদর্শন, প্রীতি ব্যাটমিন্ডন প্রতিযোগীতা। গতকাল রবিবার দুপুর ১২ নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলানায়তনে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধণা, সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বজনীন ব্যবহার এবং মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন-হাসানের সভাপতিত্বে এবং পজীব কর্মকর্তা শাকিল আহমদ এবং উপজেলা শিক্ষক সমিতির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃ রুবেল মিয়ার পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. আলমগীর চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউল গনি ওসমানী, ওসি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার নুর উদ্দিন বীর প্রতীক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুর রউফ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল, যুগ্ম সম্পাদক কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু, ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুছা। অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি শেখ শাহনুর আলম ছান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক লোকমান আহমদ খান, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার পাল হিমেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসু মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা রফিক মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান নিজামুল হক চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান রতœদীপ দাশ রাজু প্রমূখ। অনুষ্ঠানে উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক/শিক্ষিকা, কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোকজনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. আলমগীর চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ আর দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের ফলে এদেশ আজ বিশ্বের দরবারে স্বাধীন বাংলাদেশ হিসাবে মাথা উচুঁ করে দাড়িয়েছে। এদেশকে মেধাশুন্য করার  জন্য ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর পাকিস্তানী চক্র জাতীয় ৪ নেতাসহ সকল বুদ্ধীজীবিদেরকে হত্যা করেছিল। বিএনপি জামাত চক্র এদেশে রাজাকারদের গাড়ীতে পতাকা তুলে দিয়েছিল। তাই এদেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা, ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের শক্তি বর্তমান সরকারকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করে ক্ষমতায় আনতে হবে। তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর নবীগঞ্জ থানা সংলগ্ন স্থানে পাকিন্তানী বাহিনীর সাথে সন্মুখযুদ্ধে শহীদ  ধ্রæবজ্যোতির স্মৃতিসৌধ নির্মাণ এবং নবীগঞ্জ জে.কে স্কুল পয়েন্ট চৌরাস্তার মোড়কে মুক্তিযোদ্ধা চত্বর নির্মাণ কাজ আগামী বছরের ২৬ শে মার্চের পুর্বেই করা হবে বলে ঘোষনা দেন।  অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওঃ মাহবুবুর রহমান, গীতা পাঠ করেন নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার পাল হিমেল।


     এই বিভাগের আরো খবর