,

নবীগঞ্জে র‌্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে প্রতারণা!

টাকা নিতে এসে আউয়াল ধরাশায়ী

মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে র‌্যাব এর সোর্স পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায় করতে গিয়ে আব্দুল আউয়াল (৫৫) নামের এক ব্যক্তি ধরাশায়ী হয়েছে। ধৃত আঃ আব্দুল আউয়াল উপজেলার পানিউমদা গ্রামের মৃত ইছমাইল মিয়ার পুত্র। পরে তাকে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। সুত্রে প্রকাশ, নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ভরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহ’র ছেলে আলী হায়দার এর ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে গত শুক্রবার সকালে দুটি নাম্বার থেকে কল দিয়ে এক লোক নিজেকে সিলেটের র‌্যাব সদস্য দাবী করে। কতিথ র‌্যাব সদস্য ওই লোক আলী হায়দর’কে বলে তার বিরুদ্ধে নাকি মাদকসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ সব অভিযোগ থেকে বাচঁতে হলে তাদের নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এক পর্যায়ে তাদের বাড়িতে লোক পাঠাবে বলে জানানো হয়। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার পানিউমদা গ্রামের আব্দুল আউয়াল ভরপুর গ্রামের আলী হায়দারের বাড়িতে এসে র‌্যাব অফিস থেকে পাঠানো হয়েছে বলে দাবী করে বলেন- মামলা থেকে বাচঁতে হলে তার কাছে ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এমনটাই জানান হায়দার আলী। আতংকে নিরীহ আলী হায়দার কতিথ র‌্যাবের সোর্স আউয়ালকে ৫০ হাজার টাকা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রামের মুরুব্বীয়ানদের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে জানান। একপর্যায়ে গ্রামের লোকজন ছুটে এসে আব্দুল আউয়ালের কথাবার্তায় সন্দেহ সৃষ্টি হলে তাকে আটক করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক, ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজসহ এলাকার গন্যমান্যলোকজন ঘটনাস্থলে আসেন। পরে লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদে আউয়াল তার প্রতারনার কথা স্বীকার করে বলেও জানান স্থানীয়রা। তাকে বাচাঁতে তার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও এক যুবলীগ নেতা আসেন। এ ব্যাপারে বাউসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সিদ্দীক বলেন, পানিউমদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের জিম্মায় তাদের লোকজনের কাছে তাকে দেয়া হয়েছে। এদিকে, পানিউমদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, তিনি আউয়াল’কে জিম্মায় নেন নি, আউয়ালের লোকজন তাকে নিয়ে এসেছে। এদিকে আলী হায়দার আরো জানান, গত শুক্রবার থেকে র‌্যাব সিলেট অফিসের পরিচয় দিয়ে একাধিকবার ফোন দিয়ে তাকে অতিষ্ট করে তোলে। এই ফোনের পর থেকে তিনি চরম আতংকে বলেও জানান। আলী হায়দার আরো জানান, তার খালাতো ভাই আবু তাহের এর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে থানায় মামলা মোকাদ্দমা রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর