,

হবিগঞ্জের বিভিন্ন সেলুনে কোন মূল্য তালিকা না থাকায় জরিমানা

সংবাদদাতা ॥ হবিগঞ্জ শহরের পৌর এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে চলছে সেলুন ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম। চুল কাটার জন্য ৪০ টাকা এবং দাড়ি শেইভের জন্য ৩০ টাকা মূল্য নির্ধারিত থাকলেও কাজ শেষ করার পর সেলুন ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন অতিরিক্ত টাকা। ফলে বিব্রত হয়ে অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন দ্বিগুণ বা তিনগুণ টাকা প্রদানে। এ সকল ঘটনার একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১০ জানুয়ারী শহরের সেলুন ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়। কিন্তু তাতেও কাজ না হলে রোববার দুপুরের পর শহরব্যাপী অভিযান শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এ সময় শহরের বেশিরভাগ সেলুনেই কোন মূল্য তালিকা পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও সেলুন গুলোতে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় মেয়াদউত্তীর্ণ ও ভেজাল কসমেটিক্স। এ সময় ভোক্তা অধিকার আইন, ২০০৯ এর ৩৮ ও ৫১ ধারা অনুসারে শহরের পাঁচ সেলুন ব্যবসায়ীকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে কালীবাড়ি এলাকার অক্ষয় সেলুনকে ৫ শত টাকা, খাঁজা গার্ডেনের অমর জেন্টস পার্লারকে ১ হাজার টাকা, বেবি স্ট্যান্ড এর অধীর শীলকে ৫ শত টাকা, কোর্ট স্টেশন রোড এর আয়ান হেয়ার কাটিংকে ১ হাজার ৫ শত টাকা এবং পোদ্দার বাড়ি এলাকার ভাই ভাই সেলুনকে আরো ৫ শত টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একই সাথে শহরের সেলুন ব্যবসায়ীদেরকে সেবাগ্রহীতাদেরকে হয়রানি না করতে এবং নকল ভেজাল ও মেয়াদউত্তীর্ণ কসমেটিকস ব্যবহার না করতে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আমিরুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে সার্বিক সহয়তায় ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের একটি টিম। এছাড়াও সহায়তা করেন জনকণ্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন। অভিযান চলাকালে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভোক্তা অধিকার আইন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে লিফলেট ও পাম্পলেট বিতরণ করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে।


     এই বিভাগের আরো খবর