,

বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে- এমপি মজিদ খাঁন

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ আসন্ন বাহুবল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খাঁন এমপি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের পক্রিয়াটি তৃণমূল নেতাকর্মীদের স্বতস্পুর্ত অংশগ্রহণে উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমার বিশ্বাস বাহুবল উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের আয়োজনটি জেলায় একটি মডেল প্রক্রিয়া হিসেবে উপস্থাপিত হবে। তিনি আরো বলেন, চূড়ান্তভাবে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের যে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্ধিত সভায় দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূল নেতাদের অকুন্ঠ সমর্থন পেলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় তিনি এ সমর্থন পান। উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুন নূর মানিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাইয়ের পরিচালনায় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খাঁন, হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী শাহনওয়াজ মিলাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক অনুপ কুমার দেব মনা, বন ও পরিবেশ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী প্রমুখ। বর্ধিত সভার শুরুতে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নের প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়টি সমঝোতায় মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। পরে উভয় পদে একাধিক প্রার্থীতা ঘোষণা করায় গোপন ভোটের সিদ্ধান্ত হয়। এতে ভোটের প্রাপ্ত ফলাফলে- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই পেয়েছেন ৮২ ভোট, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান নাসির পেয়েছেন ৪৭, হবিগঞ্জ জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মুদ্দত আলী পেয়েছেন ৩৮ ভোট ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির চৌধুরী পেয়েছেন ১৮ ভোট। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুহেল আহমেদ কুটি পেয়েছেন ৭৩ ভোট, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া পেয়েছেন ৫৪ ভোট, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ফারুকুর রশীদ ফারুক পেয়েছেন ৩৬ ভোট, শশাংক দাস পেয়েছেন ১০ ভোট, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রমিজ আলী পেয়েছেন ৩ ভোট ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজ আলী পেয়েছেন ৩ ভোট।
উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত ৩ প্রার্থীর নাম ক্রমানুসারে কেন্দ্রে প্রেরণ করা হবে। তবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী থাকায় ভোট এই পদে গোপন ভোট অনুষ্ঠিত হয়নি।


     এই বিভাগের আরো খবর