,

মানব পাচার ও পতিতাবৃত্তির কারনে এসআই রোকন বরখাস্ত

সময় ডেস্ক ॥ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-এর এস আই রোকন উদ্দিন ভুইয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সিলেটে মানব পাচার ও পতিতাবৃত্তির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের সুপারিশ করেছে। তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রধান ছিলেন ৭, এপিবিএন-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন। গত ২৬ জানুয়ারি রাতে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর এপিবিএন-এর পক্ষ থেকে পরদিন তার ব্যাপারে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রধান ছিলেন ৭, এপিবিএন-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন। তদন্ত কমিটি বিষয়টি তদন্ত করে গত মঙ্গলবার ৭ এপিবিএন-এর অধিনায়কের কাছে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন। তিনি জানান, ২০১৮ সালের এপ্রিলে এস আই রোকনকে এসএমপি থেকে এপিবিএন-এ বদলী করা হয়। এদিকে, গ্রেফতারের পর এস আই রোকন ও তার কথিত স্ত্রী রিমা বেগমের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে একটি এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। এ দুটি মামলায় তাদেরকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতের অনুমতি চেয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতয়ালী থানার এস আই মনিরুল ইসলাম। তবে, রিমান্ডের শুনানী গত বুধবার পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়নি বলে জানা গেছে। গত শনিবার দিবাগত রাতে শিশুদের আটকে রেখে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা এবং ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে সিলেট নগরের দাড়িয়াপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে ভুয়া স্ত্রীসহ পুলিশের ওই উপ-পরিদর্শককে (এসআই) আটক করে র‌্যাব। অভিযানের সময় ওই বাসা থেকে ১২ ও ১৩ বছর বয়েসের দুই মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছে- নগরের কোতোয়ালী মডেল থানার মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া (৪০) ও তার স্ত্রী পরিচয়ে থাকা নেত্রকোনা জেলার কালিয়াজুড়ির আটগাঁওয়ের মৃত মফিজুল মিয়ার মেয়ে রিমা বেগম (৩৫)।


     এই বিভাগের আরো খবর