,

ভারতে মুসলিম সহ সংখ্যালঘুদের হয়রানিতে জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি

সময় ডেস্ক ॥ ভারতে মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের হয়রানির বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেলে ব্যাচেলেট। তিনি বুধবার জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করেন। এ সময় ব্যাচেলেট বলেন, ভারতে বিভক্তিমূলক নীতির কারণে সেখানকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আঘাত লাগতে পারে। এরই মধ্যে সেখানে সংকীর্ণ রাজনৈতিক এজেন্ডায় অসম সমাজ ব্যবস্থায় প্রান্তিক পর্যায়ে রয়েছে বিপন্ন শ্রেণির মানুষ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। তিনি আরো বলেন, সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে হয়রানি ও তাদেরকে টার্গেট করার ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে আমরা রিপোর্ট পাচ্ছি। আমরা আরো রিপোর্ট পাচ্ছি ঐতিহাসিকভাবে পিছিয়ে পড়া এবং প্রান্তিক জাতিগোষ্ঠী যেমন দলিত ও আদিবাসীরাও একই আচরণের শিকারে পরিণত হচ্ছেন। তবে তার এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন ভারতে ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন মুখপাত্র শাহনেওয়াজ হুসেইন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের রিপোর্টকে আমি প্রত্যাখ্যান করছি। ভারতের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করার জন্য এগুলো হলো ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিশ্বে মুসলিমদের জন্য ভারত হলো সর্বোত্তম দেশ। এখানে তাদের বেস্ট ফ্রেন্ড হলেন হিন্দুরা। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভারত চ্যাপ্টার-এর আগে রিপোর্ট প্রকাশ করে যে, ভারতে ঘৃণামূলক অপরাধের বিরক্তিকর তথ্য রেকর্ড করেছে তারা। এর মধ্যে রয়েছে অবমাননা, ধর্ষণ, হত্যা। ভারতের মূলধারার ইংরেজি ও হিন্দি মিডিয়ার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে অ্যামনেস্টি বলেছে, ২০১৮ সালে তারা ঘৃণাপ্রসূত অপরাধ রেকর্ড করেছে। এর মধ্যে রয়েছে নিম্নজাত বলে পরিচিত দলিতদের বিরুদ্ধে ১৪২টি অপরাধ। মুসলিমদের বিরুদ্ধে ৫০টি অপরাধ। তাদের এমন রিপোর্টের একদিন পরেই ব্যাচেলেট জাতিসংঘে ওই রিপোর্ট দিয়ে সতর্ক করেছেন। অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক আকার প্যাটেল বলেছেন, ভারতে ঘৃণাপ্রসূত অপরাধ থেকে অপরাধীকে সাধারণ ক্ষমা বা দায়মুক্তি দেয়ার একটি সংস্কৃতি আছে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া দেশের আইন ঘৃণাপ্রসূত অপরাধকে সুনির্দিষ্ট অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। এমন অপরাধের বিরুদ্ধে কণ্ঠ উচ্চকিত করার জন্য তিনি রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর