,

হবিগঞ্জে হাসপাতালে ইন্টারনীদের ভুল চিকিৎসায় এক ব্যক্তির মৃত্যু অভিযোগ

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ডাক্তারের বদলে ইন্টারনীদের চিকিৎসায় শুকুর আলী (৭০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্বজনদের সাথে তাদের বাক-বিতন্ডা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় ওই রোগী মারা যান। তিনি বাহুবল উপজেলার গরুয়া গ্রামের বাসিন্দা। রোগীর স্বজনরা জানান, গতকাল শনিবার বিকাল ৪টায় পেটে ব্যথা নিয়ে শুকুর আলী হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। তখন ওই বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার মেহেদি হাসান ছিলেন না। তিনি কোথায় গিয়েছেন তাও কেউ বলতে পারছিলেন না। অনেকক্ষণ সময় পেটের ব্যথায় ছটফট করতে থাকে শুকুর আলী। এক পর্যায়ে ৪টা ২০ মিনিটে ইন্টারনীরা তাকে চিকিৎসা কওে ঔষধ লিখে দেয় এবং রোগীকে ওয়ার্ডে যেতে বলে। সেখানে গিয়ে ঔষধ সেবন করার পর ওই রোগী মারা যায়। স্বজনদেও দাবি, ইন্টারনীদের ভুল চিকিৎসায় শুকুর আলী মৃত্যু হয়েছে। যদি ডাক্তার চিকিৎসা করতেন তাহলে হয়তোবা এ ভুল হত না। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে জরুরি বিভাগের ডাক্তাররা গল্পগুজব ও নাস্তা খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আর চিকিৎসা দিচ্ছেন ইন্টারনীরা। ফলে নিয়মিত এরকম ঘটনা ঘটছে। পত্রিকায় লেখালেখির পরও তাদের লাগাম ধরা যাচ্ছেনা। এক মাসে তাদের ভুল চিকিৎসা প্রসুতি মহিলাসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সচেতন মহলের দাবি, সদর হাসপাতালে এভাবে চলতে থাকলে হাসপাতাল থেকে মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে। এ ব্যাপারে ডাক্তার মেহেদি হাসান জানান, তিনি ওয়ার্ডে রোগী দেখতে গিয়েছিলেন। পরে এসে তার চিকিৎসা করেন। রোগীর অবস্থা ভালো ছিল না তাই তার মৃত্যু হযেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর