,

নবীগঞ্জের জয়নাল সখের নার্সারী করে স্বাবলম্বী

শাহ সুলতান আহমেদ ॥ সহজ-সরল জয়নাল আবেদীন ছোট বেলা থেকেই গাছ রোপন ও বপনকে পছন্দ করতেন। সেই ধারাবাহিকতায় বড় হয়ে তিনি মনোনিবেশ করেন গাছের চারা ফলানো ও বিক্রির দিকে। তিনি হলেন নবীগঞ্জ উপজেলার নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চরগাঁও গ্রামের মামদ মিয়ার পুত্র জয়নাল আবেদীন (৪০)। তিনি প্রায় পনের বছর যাবত প্রায় ৩০ জাতের গাছের চারা রোপন করে বড় হবার পর বিক্রি করে তার ৫ সদস্যর পরিবারের ভরন পোষন চালাচ্ছেন। তার নার্সারী নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কের পূর্ব তিমিরপুর গিয়ে দেখা গেছে বিভিন্ন জাতের গাছের চারা বপন করে সুন্দর মতো সংরক্ষন করে রেখেছেন। তিনি পৌর সভার মেয়রের ভাইদের কাছ থেকে দেড় কেদার ভুমি ভাড়া নিয়ে সেখানে গড়ে তুলেছেন গাছের নার্সারী। জয়নাল আবেদীন জানান, যদিও কষ্ট করতে হচ্ছে। এর পরও মনে আনন্দ আছে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছেন এবং পরিবারের লোকদের সুখে রেখেছেন। যদি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর যুবকরা অবসর না থেকে বাড়ির আশপাশে-পরিত্যক্ত ভূমিতে বিভিন্ন জাতের গােেছন নার্সারী করে তাহলে তার মতো স্বাবলম্বী হতে পারবেন বলে মনে করছেন অনেকেই। এই পেশার মুনাফা বেশী ঝুঁকি কম। কারণ বীজ বপন করার পর চারা গজিয়ে উঠে আস্তে-আস্তে বড় হতে থাকে। একটি চারা নি¤েœ পাঁচ টাকা থেকে উর্ধ্বে পঞ্চাশ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। প্রতি বছর জয়নাল আবেদীন দুই থেকে তিন লক্ষ টাকার চারা বিক্রি করেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানান। বর্তমানে তার নোহা নার্সারীতে প্রায় সব জাতের লক্ষাধিক টাকার উর্ধেŸ গাছের চারা রয়েছে। আগামীতে আরো উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহ করে বপন করবেন বলে তিনি জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর