,

মাধবপুরে শিক্ষকের প্রহারে আহত দু’ছাত্রীকে ঢাকায় প্রেরন, ২টি তদন্ত কমিটি গঠন

মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ মাধবপুর উপজেলার শাহজীবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ২ ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক হাবিবুর রহমান কে বহিষ্কার করেছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। ঘটনার তদন্তে ২ টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মর্জিনা আক্তার কে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি ও শাহজীবার ৩ শ মেঘাওয়াট নিবার্হী প্রকৌশলী  মাহমুদুল কবির কে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বুধবার সকালে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মল্লিকা দে ও মাধবপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন বিদ্যালয় গিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির  আশ^াস দিয়েছেন। শিক্ষকের প্রহারে আহত দশম শ্রেনীর ছাত্রী সাবিকুন নাহার মিম ও একই শ্রেনীর ছাত্রী তানিয়া আক্তার কে  উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে , মঙ্গলবার দুপুরে দশম শ্রেণীর ছাত্রী  মিম ও তানিয়া অন্যান্য সহপঠিদের সঙ্গে টিফিন খাওয়ার জন্য শ্রেণী কক্ষের বাইরে যায়। টিফিন শেষে অন্যান্যদের সঙ্গে মিমি ও তানিয়া নিদ্দিষ্ট সময়ের ৪ মিনিট পর শ্রেণী কক্ষে ফেরার অপরাধে সহকারী প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান তাদের কে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে মিম জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ সময়  সহপাটি ও অভিভাবকরা তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেটে প্রেরণ করেন। বুধবার সকালে আহত দু ছাত্রী কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে। শাহজীবাজার ৩ শ মেঘাওয়াটের নিবার্হী প্রকৌশলী ও তদন্ত কমিটির প্রধান মাহমুদুল কবির জানান, আমরা  তদন্ত শুরু করেছি। খুব শিঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। মাধবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক কে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মল্লিকা দে জানান, ছাত্র- ছাত্রীদের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক কে বরখাস্ত করা হয়েছে। আহত একজন ছাত্রী শংকা মুক্ত। অপরজন মিম কে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মর্জিনা আক্তার বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর