,

যৌন নিপীড়কদের রেহাই নেই প্রয়োজনে কঠোর আইন: প্রধানমন্ত্রী

সময় ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এর বিরুদ্ধে দেশের সকল মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের কোথাও এতটুকু জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের আলামত দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দিন। আমরা এ ধরনের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ বাংলাদেশে আর দেখতে চাই না। বাংলাদেশকে উন্নত ও শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। নুসরাত হত্যাকা-সহ যৌন নিপীড়নের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে কঠোর আইন আইন প্রণনণ করা হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারাই এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জড়িতরা কে কোন দলের তা দেখা হবে না। যৌন নিপীড়ন যারা করবেন তাদেরও রেহাই নেই। অনেকেই কঠোর আইনের কথা বলেছেন। আইন রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজন হলে কঠোর আইন যদি করতে হয় আমরা করবো। তাদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয় সেই ব্যবস্থাই আমরা করবো। সোমবার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ, শ্রীলংকার গির্জা ও হোটেলে সন্ত্রাসী হামলা, ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসা ছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ এবং এসব সন্ত্রাসী যৌন নিপীড়নের ঘটনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল সংসদ, সরকার ও নাগরিকদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আনীত সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রস্তাবটি সমর্থন করে প্রধানমন্ত্রী শ্রীলংকায় বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ দেশ নিউজিল্যান্ডেও নামাজ পড়া অবস্থায় ৫৩ জন মুসল্লিকে হত্যা করে একজন খুনি ক্যামেরা মাথায় নিয়ে। সে একজন উগ্রবাদী খ্রিষ্টান ছিল। জাতীয় ক্রিকেট টিমের সদস্যরা অল্পের জন্য বেঁচে যান।


     এই বিভাগের আরো খবর