,

বাহুবলে দুই শিশু হত্যা: মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী ১১ বছর পর গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবল উপজেলার হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ছায়েদ আলী (৫০)কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব।  শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে রাজধানী ঢাকার জুড়াইন ত্রিমোহনী থেকে গ্রেফতার করা হয়। ছায়েদ আলী বাহুবল উপজেলার যশপাল গ্রামের মৃত মারফত আলীর ছেলে। র‌্যাব-৯ সূত্রে জানা যায়, র‌্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের লে. ছিদ্দিক আলীর নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে ছায়েদ আলীকে গ্রেফতার করেন। ২০০৮ সালে বাহুবল উপজেলার যশপাল গ্রামের ছিদ্দিক আলীর দুই শিশুপুত্র  মো. সুরুজ আলী (১২) ও মো. নুরুজ আলী (১০) হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামী। পরে আদালত তার অনুপস্থিতিতে ২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ছায়েদ আলীর মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাহুবল মডেল থানার ওসি মাসুক আলী জানান, গত শুক্রবার বিকেলে ছায়েদ আলীকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট যশপাল গ্রামের আব্দুল আলী ছিদ্দিক আলীর স্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলে ওইদিন রাতে পার্শ্ববর্তী জয়পুর গ্রামে একটি বিয়ের দাওয়াতে নেওয়ার জন্য তার দুই শিশুপুত্র সুরুজ আলী (১২) ও নুরুজ আলীকে (১০) বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। দু’দিন পর ২০ আগস্ট তিতারকোনা গ্রামের হাওরের ধানী জমিতে দুই শিশুর লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় শিশুদের বাবা সিদ্দিক আলী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার এক পর্যায়ে আসামী ছায়েদ মিয়া আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর সে জামিনে মুক্তি পায়। মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে সে আত্মগোপনে চলে যায়। এ ছাড়া ঘটনার পর থেকে আরজু মিয়া পলাতক ছিল। ২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জের তখনকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভীন বাহুবল উপজেলার যশপাল গ্রামের মরহুম আব্দুস ছমেদের ছেলে আব্দুল আলী, মরহুম মারফত উল্লাহর ছেলে ছায়েদ আলী ও মরহুম আব্দুল মালেকের ছেলে আরজু মিয়াকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন।


     এই বিভাগের আরো খবর