,

হবিগঞ্জে ১১ তরুণ-তরুণীর কান্না

সংবাদদাতা :: লিখিত, মৌখিক সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। নিয়োগ বোর্ডও শূন্যপদে পদায়নের সুপারিশ করেছেন। এমন কি উচ্চ আদালতও নিয়োগ প্রদানে তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন। তারপরও হবিগঞ্জ জেলায় ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা পদে যোগদান করতে পারছেন না ১১ চাকরিপ্রার্থী। চাকরিতে যোগ দিতে না পেরে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ইতিমধ্যে সবারই
চাকরির বয়সসীমা পেরিয়ে গেছে। ওই চাকরিতে যোগদানের আশায় নতুন কোনো চাকরির আবেদনও করেননি। ফলে অন্ধকার ভবিষ্যতের কথা ভেবেই কাটছে তাদের দিন-রাত। অসহায় এই চাকরি প্রার্থীরা জেলা প্রশাসক ও মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে আছেন।
২০১৩ সালের ১৪ই জুন হবিগঞ্জ জেলায় ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪ হাজার ২৬৪ জন পরীক্ষার্থী। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৩৫ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। ওই বছরের ১৬ই জুন অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১১ প্রার্থী।  ওই ১১ প্রার্থী হলেন- মো. কামরান হাসান রুবেল (রোল-৪০৩৭), আশরাফুল ইসলাম তারেক (রোল-২০৭৯), মো. শাহ আলম (রোল-১৪৭৭), মো. ছিদ্দিকুর রহমান (রোল-১৬০১), মো. রাসেল আহমদ (রোল-১৪৩০), মোছা. শামীমা বেগম (রোল-৪২৬), সুমন্ত আচার্য্য (রোল-১৬৩৩), নাসিমা আক্তার জেনি (রোল-৪২৮),  শাহ জয়নাল আবেদীন (রোল-৯৭৭), সুমিত সরকার (রোল-২৪৮১) ও মো. কবির মিয়া (রোল-৩৬৬৯)। পরে ওই ১১ প্রার্থীকে শূন্য পদে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার। কিন্তু যোগদানের পূর্বে পে-স্কেল ও নিয়োগ বিধি সংক্রান্ত জটিলতার কারণ দেখিয়ে মন্ত্রণালয় নিয়োগ স্থগিত করে। পরে ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন উচ্চ আদালতে রিট করেন। চলতি বছরের ১৫ই জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফায়েত আহমেদ ও মো. ইকবাল কবিরের যৌথ বেঞ্চ ১১ প্রার্থীকে চাকরিতে নিয়োগ প্রদানের রায় দেন। একইসঙ্গে তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তাদের এখনও নিয়োগ দেয়া হয়নি। ইতিমধ্যে তারা হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে দফায় দফায় ধরনা দিচ্ছেন। কিন্তু কোন সুরাহা পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে চাকরি প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম তারেক বলেন,  মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরির আশায় অন্য কোন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেইনি। এখন আমাদের সবারই চাকরির বয়সসীমা পেরিয়ে গেছে। তাই এই চাকরিটি ছাড়া অন্য কোথাও আবেদন করার সুযোগ নেই। এখন আমরা ভূমি মন্ত্রণালয়ের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ বলেন, ১১ জনকে নিয়োগ দানের জন্য হাইকোর্টের রায়ের নির্দেশনা পেয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। এখন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর