,

ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার না করলে আদালতে যাবেন ব্যারিস্টার সুমন

সময় ডেস্ক ॥ পুলিশ যদি ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয় কিংবা তিনি নিজে আত্মসমর্পণ না করেন তবে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মামলার বাদী আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর  ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ ঘোষণা দেন। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, এ সপ্তাহে হাইকোর্টে আর মাত্র দু’দিন অবকাশকালীন বেঞ্চ বসবে। ১৬ই জুন থেকে নিয়মিত বেঞ্চ বসবে। এ সময়ের মধ্যে মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার না করলে আমি বাদী হয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করব। তিনি বলেন, গত ২৭শে মে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু তিনি এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার হননি। আমরা ভেবেছিলাম, আজ তিনি হাইকোর্টে আগাম জামিন নিতে আসবেন। কিন্তু তার মামলাটি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ওঠেনি। মনে হচ্ছে, এর মাধ্যমে তিনি সময়ক্ষেপণ করে আমাদের এবং জাতির সঙ্গে ইঁদুর-বিড়াল খেলছেন। পুলিশের বেশ কিছু কাজের উদাহরণ দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই প্রসিকিউটর আরো বলেন, পুলিশ প্রশাসন চাইলে এমন কোনো কাজ নেই যে তারা করতে পারে না। ভুরিভুরি উদাহরণ আছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও পুলিশ অনেক আসামি ধরেছে। নুসরাত হত্যাকান্ডের মামলায় ১৬ জন আসামিকে তারা বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে এনেছেন। পিবিআই এক মাস তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে তিনি (মোয়াজ্জেম) দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তবে এ পর্যায়েও কেন পুলিশ তাকে  চোখে চোখে রাখতে পারলেন না? তিনি বলেন, ওসি মোয়াজ্জেমকে ধরতে যত দেরি হচ্ছে ততই মানুষের মধ্যে বিশ্বাস প্রবল হচ্ছে যে, তারা (পুলিশ) ওসি মোয়াজ্জেমকে আসলেই ধরতে চাচ্ছেন কি-না?
উল্লেখ্য, গত ১৫ই এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে নুসরাত জাহান রাফির বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন মামলা করেন। এরপর গত ২৭শে মে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও মামলার নথি পর্যালোচনা করে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।


     এই বিভাগের আরো খবর