,

কাজী আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ সাংবাদিক তারেক হাবিবের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও ক্যামেরা চিনতাইয়ের ঘটনায় বাহুবলের আলোচিত উপজেলা জামাতের সাবেক আমির কথিত কাজী আব্দুল  হাইয়ের উপর দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে মামলা  দায়ের করা হয়। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এএসপি সার্কেলকে নির্দেশ প্রদান করেন। বাদী পক্ষের মামলাটি দায়ের করেন এডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ সেলিম। তাকে সহযোগীতা করেন এপিপি মোঃ মোস্তফা মিয়া। আসামী পক্ষের মামলাতে কাউন্টার প্রদান করেন এডভোকেট ফজলুর রহমান। মামলার বিবরনে জানা যায়, বাহুবলের আলোচিত কথিত কাজী আব্দুল হাইয়ের  বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের কারনে সাংবাদিক তারেক হাবিবের উপর হামলা চালিয়ে ক্যামেরা চিনিয়ে নিয়েছে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে সাংবাদিক মহলের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। গত বুধবার বেলা ৩ টার সময় হবিগঞ্জ শহরের তিনকোনা পুকুড়পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত তারেক দৈনিক সমাচার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন। সুত্র জানায়, বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের পূর্ব রুপশংকর (প্রকাশিত বানিয়াগাও) গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র কাজী আব্দুল হাইয়ের পরকিয়ার সংবাদ প্রকাশের কারনে সে ও তার বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে গত সোমবার দুপুরে কাজী ও তার বাহিনী তারেক হাবিবকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় জান মালের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে আব্দুল হাই ও তার নামদারী স্ত্রী আলেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে সমন জারী করেন। এতে তারা আরও ক্ষীপ্ত হয়ে গত বুধবার ওই সময়ে কাজী আব্দুল হাইসহ অজ্ঞাত ৪/৫জন লোক একটি কাল গ্লাসের নোহা গাড়ি নিয়ে কর্মস্থল থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সে চিৎকার করলে আব্দুল হাই চাকু দিয়ে তার দুই হাতে আঘাত করে। এবং তার ব্যবহৃত মুল্যবান ডিএসএলআর ক্যামেরা চিনিয়ে নেয়  পরে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে হামলাকারী পালিয়ে যায়। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সকলেই হামলা কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের ডাক্তার হায়দার আলী জানান, আহত তারেকের দুই হাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ক্ষুর দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


     এই বিভাগের আরো খবর